৩ বছরের সম্পর্কে প্রেমিকা কাকিমাকে লাগাতার ব্ল্যাকমেল! বিয়ের চাপই কি কাল হয়েছিল মালদহের সাদ্দামের?
প্রতিদিন | ১০ জুন ২০২৫
বাবুল হক, মালদহ: মালদহ কাণ্ডে ক্রমশ প্রকাশ্যে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যাচ্ছে, ২০২২ থেকে প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল সাদ্দাম নাদাব ও মৌমিতা হাসানের। শোনা যাচ্ছে, বিয়ের জন্য প্রেমিকা কাকিমার উপর চাপ দিচ্ছিলেন সাদ্দাম। তার জেরেই নাকি খুনের ছক। যদিও পুলিশ বিষয়টি এখনও নিশ্চিত করেনি।
গত ১৮ মে মালদহ থেকে রহস্যজনকভাবে উধাও হয়ে যান ব্যবসায়ী সাদ্দাম নাদাব। ২০ তারিখ পরিবারের তরফে ইংরেজবাজার থানায় মিসিং ডায়েরি করা হয়। এরপর ২৩ তারিখ অপহরণের অভিযোগ করা হয়। তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এরপরই মৌমিতা হাসান নামে কর্মসূত্রে যার বাড়িতে থাকতেন ওই যুবক, স্বামী-সহ ওই মহিলাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাকে জেরা করতেই প্রকাশ্যে আসে হাড়হিম করা তথ্য। জানা যায়, ওই মহিলা খুন করে সাদ্দামকে। এরপর প্রমাণ লোপাটে দেহ নিয়ে যাওয়া হয় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন থানা এলাকায় ধৃতের বাপের বাড়িতে। সেখানে দেওয়ালে সাদ্দামের দেহ গেঁথে প্লাস্টার করে দেওয়া হয়। ধৃতের থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সাদ্দামের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এরপরই প্রকাশ্যে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, ২০২১ সালে মৌমিতার বাড়ি ভাড়া নেন সাদ্দাম। তারপর থেকেই ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে তাঁদের সম্পর্কের বিষয়টা জানতে পারেন মৌমিতার স্বামী। সেই থেকে শুরু অশান্তি। এক পর্যায়ে বাড়ি থেকে সাদ্দামের জিনিসপত্র বের করে তালা মেরে দেন মৌমিতার স্বামী। সূত্রের খবর, তারপরও নাকি যোগাযোগ ছিল যুগলের। সম্পর্কে কাকিমা প্রেমিকাকে নাকি বিয়ের জন্য চাপ দিতে শুরু করেছিলেন সাদ্দাম। যদিও বিষয়টা নিয়ে নিশ্চিত নন পুলিশ আধিকারিকরা। তবে লাগাতার প্রেমিকাকে ব্ল্যাকমেল করতেন সাদ্দাম, তা জানিয়েছে পুলিশ। তাতেই প্রেমিককে খুনের ছক কষেন মৌমিতা। তবে স্বামী গোটা ঘটনায় কীভাবে জড়িত, তা নিয়ে সন্দিহান পুলিশ।