• ২৬-এর নির্বাচনের আগে রাজনীতিতে, কী প্রতিক্রিয়া ফুরফুরার কাশেম সিদ্দিকির?
    এই সময় | ১০ জুন ২০২৫
  • মার্চে ফুরফুরা শরিফে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখনই মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রীর পাশেই দেখা গিয়েছিল পীরজাদা কাশেম সিদ্দিকিকে। পার্ক সার্কাসের ইফতার পার্টিতেও উপস্থিত ছিলেন তিনি। জল্পনা ছিল। অবশেষে সোমবার তৃণমূলের রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক করা হলো কাশেম সিদ্দিকীকে।

    হাওড়ার আনিস খানের মৃত্যুর ঘটনা হোক কিংবা লাভ জিহাদের অভিযোগে আফরাজুল হত্যাকাণ্ড - প্রতিটা ক্ষেত্রেই সোচ্চার হয়েছিলেন কাশেম সিদ্দিকি। এ দিন তৃণমূলের রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর ফুরফুরা থেকে কাশেম বলেন, ‘মানুষের জন্য কাজ করতেই রাজনীতিতে এলাম। ২৮ বছর ধর্ম সভা করেছি। বুঝেছি, মানুষের জন্য কাজ করতে চাইলে রাজনৈতিক দলে যোগ দেওয়া ছাড়া উপায় নেই।’

    মাঝে ফুরফুরা উন্নয়ন পরিষদের কাজ এবং ফুরফুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের দুর্নীতি নিয়েও সরব হতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। সেই প্রসঙ্গ কাশেম বলেন, ‘কাজ যাতে ভালো ভাবে হয়, সেই জন্যই দলে আসা।’

    রাজনৈতিক বিশ্লেশকরা বলছেন, ২৬-এর বিধানসভা ভোটের আগে ফুরফুরার পীরজাদাকে বড় পদ দিয়ে সংখ্যালঘু সমাজকে বার্তা দিতে চাইল তৃণমূল। পাশাপাশি ফুরফুরার আরেক পীরজাদা তথা আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকিকেও কিছুটা কোণঠাসা করার চেষ্টা হলো। প্রসঙ্গত, নওশাদ আর আব্বাস সিদ্দিকির খুড়তুতো ভাই কাশেম। তিনি ফুরফুরার আবু বখতার সিদ্দিকীর উত্তরপুরুষ।

    কাশেমকে রাজ্য সম্পাদক করায় সংখ্যালঘু তোষণের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। রাজ্য বিজেপির প্রণয় রায় বলেন, ‘৭০ শতাংশ হিন্দুর কথা মুখ্যমন্ত্রী ভাবেন না। এরাই তো তৃণমূলের রত্ন। ছত্রধর মাহাতোর মতো মাওবাদীকে এরা রাজ্য সম্পাদক করেছে। কাশেমকেও করবে।’

  • Link to this news (এই সময়)