নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: মাদক কারবার নিয়ে দুই গোষ্ঠীর বিবাদে রবিবার রাতে গুলি চলেছে শিলিগুড়ি শহর সংলগ্ন দেবীডাঙায়। যার প্রতিবাদে সোমবার দোকানপাট দিনভর বন্ধ রেখে ব্যবসা বন্ধ পালন করা হয়। শান্ত এলাকা অশান্ত করতে এসব করা হচ্ছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। তাঁদের দাবি, জমিজমা নিয়ে ঝামেলা, মাদক ব্যবসা সহ একাধিক অসামাজিক কার্যকলাপ এলাকায় সম্প্রতি শুরু হয়েছে। যার ফলে গ্রামের পরিস্থিতি দিনদিন খারাপ হচ্ছে। রবিবার রাতে যা হয়েছে তা প্রমাণ করল যেকোনও সময় এলাকায় বড় ধরনের অশান্তি ঘটতে পারে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে দেবীডাঙা বাজার সংলগ্ন এলাকায় প্রথমে জমি কেনাবেচা নিয়ে ঝামেলা হয়। পরে তাতে যুক্ত হয় মাদক কারবার। এ নিয়ে এক গোষ্ঠীর সদস্যদের ভয় দেখাতে কয়েক রাউন্ড গুলি চালায় অন্য গোষ্ঠীর সদস্য দীপক কামতি। ঘটনার খবর মিলতেই প্রধাননগর থানার পুলিস এলাকায় পৌঁছে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। গুলির খোল পুলিস উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
এদিকে, পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকদিন ধরে ওই এলাকায় মাদক ব্যবসা চালাচ্ছিল অভিযুক্ত। এছাড়াও জমি কেনাবেচা নিয়ে অন্য গোষ্ঠীর সদস্যদের সঙ্গে ঝামেলা চলছিল অভিযুক্তের। এলাকার কিছু লোক প্রতিবাদ করার পর অভিযুক্ত আচমকা বাড়ি থেকে বন্ধুক এনে অপর গোষ্ঠী সহ স্থানীয়দের ভয় দেখাতে কয়েক রউন্ড গুলি চালায়। পরে স্থানীয়রাই প্রধাননগর থানায় খবর দিলে পুলিস ভ্যান এসে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়।
শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিসের ডিসিপি (পশ্চিম) বিশ্বচাঁদ ঠাকুর বলেন, মাদক কারবার নিয়ে এলাকার অন্য কয়েকজনের সঙ্গে দীপক কামতি নামে একজনের গণ্ডগোল ছিল। সেই কারণেই ভয় দেখাতে গিয়ে গুলি চালিয়েছিল সে। আমরা অভিুক্তকে গ্রেপ্তার করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি।
অন্যদিকে, এ বিষয়ে চম্পাসারি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান জনক সাহা বলেন, আমি বাইরে আছি। তবে শান্ত এলাকাকে কেন অশান্ত করার চেষ্টা চলছে, এর পিছনে কে বা কারা রয়েছে তা পুলিসকে খোঁজ নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আবেদন জানাব।
সোমবার সকাল থেকেই দেবীডাঙা বাজারের সমস্ত দোকানপাট বন্ধ থাকে। প্রধাননগর থানার পুলিস বাহিনী এলাকায় মোতায়ন ছিল সর্বক্ষণই। সন্ধ্যার পরও ছিল পুলিস। গ্রামবাসীদের দাবি, এলাকায় সম্প্রতি মাদকাসক্তদের আনাগোনা বেড়েছে। রাত হলে বহিরাগতদের ভিড় হয়। অসামাজিক কার্যকলাপ হয়। এসব শক্তহাতে পুলিসকে রুখতে হবে। নইলে যেকোনও দিন বড়সড় অঘটন ঘটে যাবে। নিজস্ব চিত্র।