• মালদহ মেডিক্যালে বেতনের দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভ অস্থায়ী কর্মীদের, প্রভাব পরিষেবায়
    বর্তমান | ১০ জুন ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদহ: বকেয়া বেতনের দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভে বসলেন মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মীরা। সোমবার সকাল থেকে ট্রমা কেয়ার বিভাগের সামনে প্রায় দু’শো কর্মী অবস্থানে বসেন। তাঁদের আন্দোলনের ফলে রোগী পরিষেবায় ব্যাঘাত ঘটছে বলে জানায় মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ। সমস্যা সমাধানে দফায় দফায় আলোচনা হলেও জট কাটেনি। 

    বিক্ষোভে শামিল অস্থায়ী কর্মী রীনা মণ্ডল বলেন, আমাদের কাজ করিয়ে প্রতি মাসে পুরো বেতন দেওয়া হচ্ছে না। কোনও মাসে সাতশো টাকা, আবার কখনও চারশো টাকা করে দিচ্ছে। যেমন এবার আড়াই হাজার টাকা পেয়েছি। অনেক সময় দু’মাস পেরিয়ে যাওয়ার পর মাত্র কিছু টাকা দেওয়া হচ্ছে। সেজন্য আমরা আন্দোলন করছি। বেতন সমস্যা না মিটলে কাজ করব না। 

    অস্থায়ী কর্মীদের দাবি,তাঁরা বারবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বেতন সমস্যার কথা জানালেও সমাধানের আগ্রহ দেখা যায়নি। আন্দোলনকারী আরেক কর্মী অম্লান মৈত্রর কথায়, প্রথমত, সময়ে বেতন দিচ্ছে না। কোনও মাসে দিলেও এক হাজার, পাঁচশো, তিনশো টাকা করে কেটে নেওয়া হচ্ছে। অনেক সময় আবার দু’মাস পর ২৫ বা ৩০ তারিখে টাকা পাচ্ছি। 

    এদিন মেডিক্যালের যে ১৮০ জন অস্থায়ী কর্মী বকেয়া বেতন প্রদানের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছেন, তাঁদের অধিকাংশই ট্রমা কেয়ার ইউনিটে কর্মরত। এদের মধ্যে নিরাপত্তারক্ষী, ওয়ার্ড বয়, ওয়ার্ড গার্লদের মতো নন মেডিক্যাল কর্মীরাই আছেন। মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায় বলেন, ট্রমা কেয়ারের অস্থায়ী কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচির জেরে পরিষেবা দিতে অসুবিধে হচ্ছে। আমরা সমাধান বের করার চেষ্টা করছি। দফায় দফায় আলোচনার পর স্বাস্থ্য ভবনকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। 

    মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল সার্ভিস কর্পোরেশনের (ডব্লিউবিএমএসসি) মাধ্যমে অস্থায়ী কর্মীদের নিয়োগ করা হয়েছে। ট্রমা কেয়ার বিভাগের যাবতীয় নন টেকনিক্যাল কাজের জন্য এজেন্সির মাধ্যমে কর্মী নিয়োগ করা হয়। এদিন অস্থায়ী কর্মীদের সমস্যা সমাধান করতে অধ্যক্ষ ডব্লিউবিএমএসসি’র উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন।  

    মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ট্রমা কেয়ার ইউনিটে সাধারণত অস্ত্রোপচার হওয়া রোগীরাই থাকেন। যাঁদের ধরে খাওয়ানো, শৌচাগারে নিয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে সবকিছু করে দিতে হয়। অস্থায়ী কর্মীদের আন্দোলনের ফলে রোগী পরিষেবায় সরাসরি না হলেও অনেকটা প্রভাব পড়েছে। কর্মীরা যাতে কাজে যোগ দেন, সেজন্য কয়েক দফা বৈঠক করে মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ। 

     নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)