সংবাদদাতা, ইটাহার: জাতীয় ও রাজ্য সড়কে টোটোর দৌরাত্ম্য ছিলই। এবার টোটোর পিছনে ঝুলিয়ে স্কুলপড়ুয়াদের নিয়ে রাজ্যসড়কে ছুটছেন চালকরা। ইটাহার-বালুরঘাট রাজ্যসড়কে এই ছবি প্রায়ই দেখা গেলেও ট্রাফিক পুলিসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, একে তো রাজ্যসড়কে টোটো চলাচল নিষিদ্ধ, তার উপর অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহণে যে কোনও সময় বড়সড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। আতঙ্কিত অভিভাবকদেরও একাংশ। ইটাহার ট্রাফিক পুলিসের এক কর্তা বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে টোটোচালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এবিষয়ে আইএনটিটিইউসির টোটোচালক ইউনিয়নের ইটাহার ব্লক চেয়ারম্যান গৌতম রাজবংশী বলেন, টোটোয় পাঁচজনের বেশি যাত্রী নিয়ে যাওয়া বারণ। যে টোটো চালকরা অতিরিক্ত যাত্রী তুলছেন, তাদের বিরুদ্ধে আমরা সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেব। পুলিসকেও বিষয়টি জানাব। স্থানীয়দের অভিযোগ, জাতীয় ও রাজ্য সড়কে টোটো চলাচলে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও অবাধে চলছে টোটো। তাও আবার অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে। বেশি লাভের আশায় আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে টোটো চালকরা অতিরিক্ত যাত্রী তুলছেন। ট্রাফিক পুলিসের পক্ষ থেকে টোটো চালকদের সচেতন করা হলেও বাস্তবে লাভ খুব একটা হচ্ছে না। ফলে সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে। ইতিমধ্যে ইটাহার চেকপোস্ট, ইটাহার, দুর্গাপুর, বালিয়াপাড়া, পতিরাজপুর, চূড়ামণ সহ বিভিন্ন এলাকায় টোটো চালকদের সচেতন করেছে ট্রাফিক পুলিস। দ্বিগুণ যাত্রী না তোলা ও যাত্রী ওঠা-নামার ক্ষেত্রে টোটোর ডান পাশ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে পুলিস। পুলিসের নির্দেশ উপেক্ষা করে টোটোর পিছনে ঝুলিয়ে যাত্রী পরিবহণ করায় আতঙ্কিত পড়ুয়াদের অভিভাবকরা। উজ্জ্বল দাস নামে এক অভিভাবকের প্রশ্ন, ছাত্রদের জীবনের কি কোনও দাম নেই? রাজ্য সড়কে কোনও অঘটন ঘটে গেলে, দায় কে নেবে? জাকির হুসেন নামে এক শিক্ষক জানান, টোটোর বিরুদ্ধে পুলিস প্রশাসনের কড়া ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এভাবেই টোটোর পিছনে যাতায়াত চলে।- নিজস্ব চিত্র