চুরির টোটোর রং পাল্টে বিক্রির চেষ্টা, কালিয়াগঞ্জে উদ্ধার চারটি
বর্তমান | ১০ জুন ২০২৫
সংবাদদাতা, কালিয়াগঞ্জ: প্রথমে টোটো চুরি বা ছিনতাই করে গোপন ডেরায় নিয়ে আসা। তারপর সেই টোটোর রং পাল্টে এবং আকারে সামান্য বদল করে অন্য জায়গায় বিক্রি। এমনই একটি চক্র সক্রিয় উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে। এই চক্রে জেলার দুষ্কৃতীদের সঙ্গে জড়িত প্রতিবেশী মালদহ জেলার চোরেরাও। দুই টোটো চোরকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে রায়গঞ্জ জেলা পুলিস।
ধৃত দুই দুষ্কৃতীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে চুরি যাওয়া ৪ টি টোটো উদ্ধারও করেছে কালিয়াগঞ্জ থানা। আইসি দেবব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, আমরা সম্প্রতি দুই টোটো চোরকে পুলিসি হেফাজতে নিয়েছিলাম। তাদের জেরা করে মালদহ, হেমতাবাদ ও রায়গঞ্জ থেকে মোট ৪ টি চোরাই টোটো উদ্ধার হয়েছে। টোটো চালকের পরিচয় জানা না গেলেই বাজেয়াপ্ত প্রতিটি টোটো চোরাই। টোটোগুলির রং এবং বডিতে হালকা বদল করে অন্যত্র বিক্রির পরিকল্পনা ছিল দুষ্কৃতীদের। কিন্তু সেই চেষ্টা ভেস্তে দিয়েছে পুলিস। সোমবার ধৃতদের ফের রায়গঞ্জ জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
কয়েকদিন আগে টোটো চুরির অভিযোগে কালিয়াগঞ্জের অতুল দাস, রায়গঞ্জের অজয় রায় ও মালদহের ইংলিশবাজারের আজিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। গত শুক্রবার অজয় ও আজিজুরকে ৩ দিনের হেফাজতে নেয় পুলিস। তাদের জেরা করেই সন্ধান মেলে চুরি যাওয়া চারটি টোটোর।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, টোটো চুরির মূল পান্ডা আজিজুর। ইংলিশবাজার নিবাসী আজিজুর জেলার দুষ্কৃতীদের সঙ্গে মিলে বিভিন্ন জায়গা থেকে টোটো চুরি ও ছিনতাই করত। তারপর গোপন আস্তানায় সেই টোটোর রং পাল্টে দিত। তারপর অন্য জায়গায় বিক্রি করত। কালিয়াগঞ্জ থানার আইসি বলেন, উদ্ধার করা টোটোগুলি প্রকৃত মালিককে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। পাশাপাশি এই চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত, তারও খোঁজ চলছে। উদ্ধার হওয়া ৪টি টোটো।-নিজস্ব চিত্র