• চাঁচলে বাইক রাখার প্রতিবাদ করায় ছুরির আঘাত, আশঙ্কাজনক দুই ভাই
    বর্তমান | ১০ জুন ২০২৫
  • সংবাদদাতা, চাঁচল: দোকানের সামনে বাইক রাখাকে কেন্দ্র করে তুমুল বচসা থেকে রক্তারক্তি কাণ্ড। ছুরিকাহত হয়ে রক্তাক্ত হলেন দুই ভাই। রবিবার সন্ধ্যায় মালদহের চাঁচল থানার মুলাইবাড়িতে ভরা বাজারে এমন ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকার ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা। আহত মালেক আলি ও তাঁর ভাই রফিকুল ইসলাম মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুলাইবাড়ি বাজারে ফোটোকপির দোকান রয়েছে মেরাজুল ইসলামের। রবিবার সকালে তাঁর দোকানের সামনে জোর করে  বাইক রাখেন এলাকার যুবক আলিমুদ্দিন তাহার। বাইকটি দোকানের একদম সামনে মাঝ বরাবর রেখে দেওয়ায় মেরাজুল সরিয়ে নিতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আলিমুদ্দিন তর্ক শুরু করেন। সকালের এই ঝামেলা কিছুক্ষণের মধ্যে মিটে গেলেও সন্ধ্যায় পরিস্থিতি ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বাজার চলাকালীন আলিমুদ্দিন দলবল নিয়ে এসে চড়াও হন মেরাজুলের বাবা মালেক আলির উপর। 

    অভিযোগ, তাঁকে মাটিতে ফেলে ঘুষি, লাথি মারতে শুরু করেন আলিমুদ্দিন ও ইমদাদুল। আচমকা আলিমুদ্দিন কোমর থেকে একটি ধারালো ছুরি বের করে মালেকের পেটে ও শরীরের কয়েক জায়গায় কোপ মারতে শুরু করেন। সেই সময় দাদাকে বাঁচাতে গিয়ে রফিকুল ছুরির কোপে রক্তাক্ত হন। তাঁদের দু’জনকে রক্তাক্ত অবস্থায় প্রথমে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁদের মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।

    এদিকে ছুরি হামলার জেরে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এক বাসিন্দা মহম্মদ জিন্নাহ আলি বলেন, ভরা বাজারে প্রকাশ্যে এমন ঘটনায় আতঙ্কে রয়েছি। মানুষজন ভয়ে রয়েছেন। ঘটনার পর থেকে দোকানপাট বন্ধ হয়ে রয়েছে। ব্যবসায় অনেক ক্ষতি হচ্ছে আমাদের। সোমবার আলিমুদ্দিন ও ইমদাদুল সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে চাঁচল থানায় অভিযোগ করেছেন আহতের ছেলে মেরাজুল। তিনি বলেন, বাবাকে খুন করার পরিকল্পনা করেছিল ওরা। কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক। চাঁচল থানার এক আধিকারিক বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনার পর গা ঢাকা দিয়েছে অভিযুক্তরা। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। এদিকে বিকেলে অভিযুক্ত আলিমুদ্দিনের স্ত্রী থানায় ছ’জনের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেছেন।  আহতের পরিবারের সদস্যরা।-নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)