ভবঘুরে, ফুটপাতবাসী সরাতে পুলিসকে নিয়ে আজ শহরের চার জায়গায় অভিযান পুরসভার
বর্তমান | ১০ জুন ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে ভবঘুরে, ফুটপাতবাসীদের সরাতে ফের অভিযানে নামছে কলকাতা পুরসভা। আজ, মঙ্গলবার প্রথম দফায় কলকাতা পুলিসকে সঙ্গে নিয়ে শহরের চারটি এলাকায় এই অভিযান হবে। মল্লিকবাজার, বালিগঞ্জ ফাঁড়ি থেকে গড়িয়াহাট, হাজরা রোড বা হাজরা মোড় থেকে গোপালনগর এবং পার্ক সার্কাস সেভেন পয়েন্ট ক্রসিং থেকে বেকবাগান-এই চারটি জায়গা থেকে ভবঘুরে এবং ফুটপাতবাসীদের সরিয়ে রাস্তা, ফুটপাত এবং ব্রিজের নীচের অংশ খালি করা হবে। এই কাজে পুলিসি সাহায্য চেয়ে সোমবার কলকাতা পুলিস কমিশনারকে চিঠি দিয়েছেন পুর কমিশনার। পাশাপাশি পরবর্তী পর্যায়ে শহরজুড়ে কোথায় কোথায় এমন অভিযান করা যায়, তা চিহ্নিত করতেও পুলিসের সাহায্য চাওয়া হবে। ইতিমধ্যেই সোমবার পার্ক সার্কাসের সার্কাস অ্যাভিনিউতে এ জে সি বোস উড়ালপুলের নীচে থাকা ভবঘুরেদের সরানো হয়।
উল্লেখ্য, এর আগে মেয়র ফিরহাদ হাকিম শহরের ফুটপাত থেকে শুরু করে ব্রিজের নীচে থাকা ভবঘুরে, ফুটপাতবাসীদের সরাতে উদ্যোগী হয়েছিলেন। কলকাতা পুরসভা তরফে লালবাজারে চিঠিও দেওয়া হয়েছিল। কিছু কিছু জায়গায় সেই কাজও হয়েছিল। কিন্তু আবার অনেকে ভবঘুরে সেখানে এসে থাকা শুরু করেছিলেন। তাই মেয়র নতুন করে লাগাতার অভিযান এবং নজরদারির নির্দেশ দিয়েছেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার আপাতত শহরে চারটি জায়গায় থেকে ভবঘুরে, ফুটপাতবাসী, দখলদারদের সরানো হবে।
শহরের বিভিন্ন রাস্তা, যাত্রী প্রতীক্ষালয়, ফুটপাত, ব্রিজের নীচে ভবঘুরে বা ফুটপাতবাসীদের আস্তানা তৈরি হয়েছে। প্লাস্টিকের ছাউনি করে চলছে বসবাস। রাস্তার উপরেই চলছে রান্নাবান্না। এইসব জায়গায় অসামাজিক কাজকর্মও হয়। পাশাপাশি এগুলি অনেক ক্ষেত্রে চোর, পকেটমার সহ দুষ্কৃতীদের আস্তানা বলেও অভিযোগ। তাই এইসব জায়গা খালি করে ভবঘুরে এবং ফুটপাতবাসীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে পুনর্বাসন দেওয়া হবে নাইট শেল্টারে। এই প্রসঙ্গে এক পুরকর্তা বলেন, আগেও অভিযান হয়েছে। কিন্তু, আবার অনেকেই এসে বসে যাচ্ছেন। তাই লাগাতার অভিযান ও নজরদারি চাইছেন মেয়র। পুরসভা পুলিসের সাহায্য নিয়ে তাঁদের খোলা জায়গা থেকে সরিয়ে নাইট শেল্টারে নিয়ে যাবে। সামাজিক সুরক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের প্রতিনিধিরাও থাকবেন। অনেক জায়গায় এই ফুটপাতবাসী, ভবঘুরেরা প্লাস্টিকের ছাউনি দিয়ে রাখেন। নোংরা সামগ্রী ডাই করে রাখেন। সেগুলি জঞ্জাল সাফাই বিভাগ তুলে নিয়ে যাবে। জায়গা দখলদারমুক্ত করা হবে।
আগামী দিনেও অভিযান চলবে। শহরের কোন কোন রাস্তায় এই ধরনের দখলদার রয়েছেন, সেগুলি চিহ্নিত করে পুরসভাকে জানাবে পুলিস। তার পরিপ্রেক্ষিতে দফায় দফায় হবে অভিযান। তবে শুধুমাত্র অভিযান করেই হাত গুটিয়ে বসে থাকা নয়। কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, লাগাতার নজরদারিও রাখা হবে, যাতে নতুন করে সেখানে এঁরা এসে জায়গা দখল না করেন।