• ‘ভয় আর আতঙ্কের পরিবেশ…’ রেল আর তৃণমূলের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ঘিরে সরগরম খড়্গপুর
    এই সময় | ১০ জুন ২০২৫
  • ভয় আর আতঙ্কের পরিবেশ খড়্গপুরের রেল এলাকায়। খড়্গপুরের ডিআরএমের অভিযোগ, সেখানে ভয় আর আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করছে রাজ্যের শাসক দল। এমনকী রেলের একাধিক আধিকারিকের পাশাপাশি তাঁর নামেও ‘কেস’ দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করলেন দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়্গপুরের ডিআরএম (DRM) কে আর  চৌধুরী। তবে, তাঁর বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করেছেন খড়্গপুরের তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা। তাঁদের দাবি, সেখানে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করছেন খোদ ডিআরএম।

    রেলের দাবি, তাঁদের সম্পত্তি জবরদখল করে রাখা হয়েছে। সেখানে উচ্ছেদ অভিযান করতে গেলেই বাধা দেওয়া হচ্ছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে। এমনকী খড়্গপুরের দু’জন এডিআরম  এবং তাঁর নামেও কেস দেওয়া হচ্ছে।  সোমবার সন্ধ্যায় খড়্গপুরে নিজের কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠকে অভিযোগ করেন তিনি।

    উল্লেখ্য, খড়্গপুরের ডিআরএমকে অপসারণ করার ডাক  দিয়ে আগামী বুধবার  ‘ডিআরএম অফিস ঘেরাও’ অভিযানের ডাক দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।  ঠিক তার আগে  খড়্গপুরের ডিআরএমের দাবি, রেল এলাকায় উন্নয়ন করতে চাইলে শাসক দলের বাধা এবং রাজ্য সরকারের অসহযোগিতার কারণে তা করা যাচ্ছে না।

    ডিআরএম জানান,  খড়্গপুর ডিভিশনে রেলের জমিতে থাকা অবৈধ নির্মাণের সংখ্যা ৮৮৪১। এর মধ্যে শুধু খড়্গপুর শহরের নিমপুরা কমপ্লেক্স এলাকায় এই সংখ্যাটা ৪৬৫১।  এই ডিডিশন এলাকায় থাকা ৫৩২২টি অবৈধ নির্মাণ আইন মেনে উচ্ছেদ করার নোটিশ জারি করা হয়েছে। কিন্তু, রাজ্য সরকার তথা পুলিশ ও প্রশাসনের অসহযোগিতার কারণেই 'রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি' ফেরানো যাচ্ছেনা বলে অভিযোগ তাঁর।

    তাঁর  দাবি, রাজ্য সরকার এবং শাসক দলের তরফে অবৈধ জবরদখলকারীদেরই মদত দেওয়া হচ্ছে।এ নিয়ে জেলাশাসক থেকে শুরু করে রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে দাবি করেছেন তিনি।  

    খড়্গপুরে রেল এলাকায় বেশ কিছু রাস্তা রেলের তরফে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে রেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন সাধারণ বাসিন্দারা। তবে, রেলের সাফাই  ‘অথচ, রেল কলোনির বাসিন্দাদের নিরাপত্তার কারণেই কিছু গলিতে যাতায়াত বন্ধ রাখা হয়েছে।’

    অপরদিকে,  প্রাক্তন বিধায়ক তথা খড়্গপুর পুরসভার তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলার প্রদীপ সরকারের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে যারা সেখানে বসবাস করছেন তাঁদের উচ্ছেদ করতে চাইছেন ডিআরএম। ওই এলাকা রেলের না পুরসভার তাই এখনও প্রমাণ করতে পারেননি তিনি।  প্রদীপের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তাঁরা অবৈধ উচ্ছেদ অভিযানের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন।

  • Link to this news (এই সময়)