• Assault Case: চক্রধরপুর এক্সপ্রেসে চিকিৎসকের শ্লীলতাহানি, গ্রেপ্তার সিধো কানহো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক
    এই সময় | ১০ জুন ২০২৫
  • চলন্ত ট্রেনে এক মহিলা চিকিৎসকের শ্লীলতাহানির অভিযোগে হাওড়া থেকে গ্রেপ্তার করা হলো সিধো কানহো বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে। সোমবার ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার তাঁকে বাঁকুড়া জেলা আদালতে পেশ করা হয়। আদালত ধৃতকে ১৬ জুন পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত শিক্ষকের বাড়ি কলকাতার বাগুইআটিতে। ২৭ মে অভিযোগ জানিয়েছিলেন ওই মহিলা চিকিৎসক।

    আদালত সূত্রে খবর, গত ২৭ মে বাঁকুড়া জিআরপির কাছে লিখিত অভিযোগ জানান ওই মহিলা চিকিৎসক। তিনি অভিযোগ করেন, ২৬ মে রাতে পুরুলিয়া যাওয়ার জন্য হাওড়া স্টেশন থেকে চক্রধরপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের এসি কামরায় ওঠেন তিনি। ২৭ মে ভোরে ট্রেনটি বিষ্ণুপুর স্টেশনে পৌঁছানোর আগে চলন্ত ট্রেনেই তাঁর সঙ্গে অভব্য আচরণ করেন তাঁর কামরায় থাকা এক সহযাত্রী।

    অভিযোগ পেয়েই রেল পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে। কয়েক দিন ধরে খোঁজ চালানোর পর সোমবার হাওড়া থেকে অভিযুক্ত অধ্যাপককে গ্রেপ্তার করা হয়। এ দিন ধৃতকে বাঁকুড়া জেলা আদালতে পেশ করা হলে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

    সরকারি আইনজীবী রথীন দে বলেন, ‘অভিযোগকারী মহিলা ডাক্তার এবং অভিযুক্ত শিক্ষক দু’জনই পুরুলিয়ায় কাজ করেন। হাওড়া চক্রধরপুর এক্সপ্রেস ধরে কলকাতা থেকে আসছিলেন তাঁরা। ট্রেনে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। সোমবার বাঁকুড়া জিআরপি তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে।’

    অন্যদিকে অভিযুক্তের আইনজীবী তাপস চৌধুরী বলেন, ‘প্রথমে অভিযোগকারী অভিযোগ করেছিলেন শ্লীলতাহানির। এখন ধর্ষণের কথা বলছেন। আমার মক্কেল সব রকম ভাবে পুলিশকে সহযোগিতা করেছে, পুলিশ ডেকেছিল, বয়ান দিয়েছেন। আমরা আগাম জামিনের আবেদন জানিয়েছি। যে হেতু ধর্ষণের অভিযোগ, তাই আদালত জামিন দেয়নি। ১৬ তারিখ আবার অভিযুক্তকে আদালতে হাজির করানো হবে।’

    এই ঘটনা প্রসঙ্গে সিধো কানহো বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার নচিকেতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এখনও তাঁদের কাছে এ নিয়ে বিস্তারিত কোনও খবর আসেনি। যদি কিছু জানানো হয়, যদি ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়, জানানো হবে।

  • Link to this news (এই সময়)