ফের বহরমপুর থেকে উদ্ধার অস্ত্র, চিন্তা পুলিশ-প্রশাসনের
দৈনিক স্টেটসম্যান | ১০ জুন ২০২৫
বিগত কয়েকমাস ধরেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। মুর্শিদাবাদের বহরমপুর, সাগরপাড়া প্রভৃতি জায়গা থেকে অস্ত্র ভাণ্ডারের খোঁজ মিলেছে। সামনেই বাংলাদেশ সীমান্ত থাকায় পুলিশ প্রশাসন সবসময় সতর্ক থাকছে। নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, সীমান্ত থেকে বহিরাগত জঙ্গি অশান্তি করতে দেশে প্রবেশ করতে পারে। এই আবহে বিহারের মুঙ্গের থেকে রাজ্যে অস্ত্র ঢুকছে বলে জানা গিয়েছে। বেআইনিভাবে অস্ত্র আমদানির ক্ষেত্রে বার বার মুঙ্গের নাম উঠে আসায় প্রশাসন এক্ষেত্রে অনেক বেশি নজরদারি বাড়িয়েছে।
সম্প্রতি মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে বিপুল পরিমাণে অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। বহরমপুর থানা সূত্রে খবর, বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী ফারাক্কা থেকে অস্ত্র, কার্তুজ আনার চেষ্টা করা হচ্ছিল। মূলত বিহার থেকেই এইসবের আমদানি বলে মনে করা হচ্ছে। এই ঘটনায় মাসুদ শেখ নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে সোমবার আদালতে পেশ করা হয়েছে। তবে অস্ত্র পাচারের ঘটনায় বহরমপুর এলাকা প্রশাসনকে নতুন করে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে।
গোপন সূত্র মারফত বহরমপুর থানার পুলিশ জানতে পারে বহরমপুরে অস্ত্র পাচারের চেষ্টা চলছে। সেই মতো তাঁরা অভিযানের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিল। এরপর রবিবার গভীর রাতে পুলিশ তল্লাশি অভিযান শুরু করে। গাড়ি আটকে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হয়। সেই সময় শীলপুকুর এলাকা দিয়ে মাসুদ শেখ নামের এক ব্যক্তি টোটোতে করে যাচ্ছিলেন। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের পরই পুলিশের সন্দেহ বাড়ে। কারণ তাঁর কথায় একাধিক অসঙ্গতি ছিল। এরপরই পুলিশ গাড়িটির তল্লাশি নেয়। সেখান থেকেই উদ্ধার হয় অস্ত্র ও কার্তুজ। তিনটি সেভেন এমএম পিস্তল, ১০ রাউন্ড গুলি এবং ৬টি ম্যাগাজিন পাওয়া গিয়েছে। ওই ব্যক্তি কেবলমাত্র একজন ক্যারিয়ার ছিলেন। এই ঘটনায় আরও কারা যুক্ত রয়েছেন খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই অস্ত্র বিহার থেকে এই রাজ্যে এসেছে। রানিনগর এলাকায় অস্ত্রগুলি বিক্রির কথা ছিল। এর আগেও অস্ত্র পাচারের ক্ষেত্রে রানিনগর এলাকার নাম উঠেছিল। বহরমপুর থানার পুলিশ কিছুদিন আগে ৫টি সেভেন এমএম পিস্তল, ১০টি ম্যাগাজিন এবং ২৫ রাউন্ড কার্তুজ-সহ দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছিল। তাঁরা বহরমপুরের ফরাসডাঙা এলাকা দিয়ে রানিনগরেই যাচ্ছিলেন। এর ফলে বহরমপুর এলাকা নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে পুলিশের।