অয়ন শর্মা: চলন্ত ট্রেনে অধ্যাপিকা চিকিৎসককে শ্লীলতাহানির (Molestation) ঘটনায় অবশেষে পুলিসের জালে অধ্যাপক। ২৬ মে হাওড়া থেকে চক্রধরপুর এক্সপ্রেসের (Train) ফার্স্ট ক্লাস কোচে পুরুলিয়ায় যাচ্ছিলেন পুরুলিয়া গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপিকা চিকিৎসক। সেই কোচেই সহযাত্রী ছিলেন সিধু কানু বিরশা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুমন পাল। অভিযোগ, ভোরের দিকে ট্রেনের মধ্যেই তাঁর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন ওই অধ্যাপক।
বাঁকুড়া জেলা পুলিস গ্রেফতার করল সিধু কানু বিরশা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুমন পালকে। মঙ্গলবার সকাল ১০:১৫ নাগাদ তাকে গ্রেফতার করা হয়। এদিনই আদালতে তোলা হবে তাকে। ফার্স্ট ক্লাস কোচের বার্থে ঘুমিয়ে ছিলেন অধ্যাপিকা। সেই সময় অধ্যাপক তাঁর শরীরে হাত দেয় ও শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ। ঘটনায় সঙ্গে সঙ্গে তিনি অন্যান্য সহযাত্রীদের জানান। তবে ছোটাছুটি করেও কোচের মধ্যে কোনও নিরাপত্তারক্ষীকে দেখতে পাননি। মঙ্গলবার পুরুলিয়ায় গিয়ে জিআরপি-র মাধ্যমে বাঁকুড়া জিআরপি-তে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন অধ্যাপিকা।
আদালত সূত্রে জানা খবর, গত ২৭ মে বাঁকুড়ায় জিআরপি থানায় হাজির হয়ে হাওড়া চক্রধরপুর ট্রেনের এসি কামরার এক মহিলা যাত্রী লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগকারী মহিলা পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো মেডিক্যাল কলেজের এসোসিয়েট অধ্যাপক। তাঁর লিখিত অভিযোগে তিনি দাবি করেন, ২৬ মে রাতে পুরুলিয়া যাওয়ার উদ্যেশ্যে তিনি হাওড়া স্টেশনে হাওড়া চক্রধরপুর ট্রেনের এসি কামরায় চড়েন।
অভিযোগ ২৭ মে ভোরে ট্রেনটি বিষ্ণুপুর স্টেশনে পৌঁছানোর আগে চলন্ত ট্রেনেই তাঁকে শ্লীলতাহানী করেন ওই কামরায় সহযাত্রী হিসাবে থাকা পুরুলিয়ার সিধু কানহু বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুমন পাল। এরপর ওইদিন সকালে বাঁকুড়া স্টেশনে ট্রেন থেকে নেমে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেতেই রেল পুলিস ঘটনার তদন্ত শুরু করে। কয়েকদিন ধরে খোঁজ চালানোর পর গতকাল হাওড়া থেকে অভিযুক্ত অধ্যাপককে গ্রেফতার করে রেল পুলিস। ধৃতকে বাঁকুড়া জেলা আদালতে পেশ করা হয়। আদালত ধৃতকে ৭ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়। ধৃতের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৭৪, ৬৪ ও ৬২ নম্বর ধারায় মামলা রুজু করেছে রেল পুলিস।