বাবুল হক, মালদহ: প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে ঘনিষ্ঠতা, তারপর সম্পর্ক তৈরির অভিযোগ। শুধু তাই নয়, পরে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি, ভিডিও, চ্যাট দেখিয়ে দিনের পর দিন ব্ল্যাকমেল করার অভিযোগ। চাপে বাধ্য হয়ে ‘আত্মঘাতী’ হন ওই যুবক। মৃতের নাম মনোজিৎ মণ্ডল। ঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছেন অভিযুক্তরা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের বামনগোলা থানা এলাকায়। দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তারির দাবিতে জেলা পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছেন মৃতের স্ত্রী যূথিকা অধিকারী মণ্ডল। পুলিশ সুপার দ্রুত পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন বামনগোলা থানার আইসিকে।
জানা গিয়েছে, প্রতিমা বিশ্বাস নামে এক বিবাহিতার সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল মনোজিৎ মণ্ডলের। অভিযোগ, প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে ঘনিষ্ঠতা বাড়ানো হয়। অভিযোগ, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন ওই যুবক। অভিযোগ, ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি, ভিডিও তুলে সেসব দেখিয়েই ওই যুবককে ব্ল্যাকমেল করা শুরু হয়। মোটা টাকা দাবি করা হয় তাঁর থেকে। চাপে পড়ে শেষপর্যন্ত টাকা দিতে বাধ্য হয়েছিলেন মনোজিৎ। অভিযোগ, তারপরেও অভিযুক্তরা থামেননি। দিনের পর দিন টাকা চাওয়ার পরিমাণ বাড়ছিল বলে অভিযোগ। টাকা না দিলে ওইসব ভিডিও, ছবি ভাইরাল করে দেওয়া হবে বলে হুমকিও দেওয়া হত। শেষপর্যন্ত ওই যুবক সম্প্রতি কীটনাশক খেয়ে ‘আত্মঘাতী’ হন বলে পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে। মৃতের স্ত্রী যূথিকার অভিযোগ, প্রতিমা বিশ্বাস, তাঁর স্বামী বিশাল বিশ্বাস ও প্রসেন বাওয়ালি নামে গাজোলের এক যুবক দিনের পর দিন ছবি, ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করতেন।
নদীর ধারে গিয়ে মনোজিৎ কীটনাশক খেয়েছিলেন বলে খবর। নিজেই মোবাইলে সেই ভিডিও করে সেটি অভিযুক্ত প্রতিমা বিশ্বাসের কাছে পাঠিয়েছিলেন। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্তরা। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সরব হয়েছেন স্থানীয়রাও। মৃতার স্ত্রী বামনগোলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তারপরও অভিযুক্তরা ধরা পড়েননি বলে অভিযোগ। শেষপর্যন্ত মালদহ জেলা পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মৃতের স্ত্রী। পুলিশ সুপার দ্রুত পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন। তারপরেই বামনগোলা থানার পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে। শুধু তাই নয়, গাজোল থানার সঙ্গেও এই বিষয়ে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। অভিযুক্তদের পরিচিত ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলেও খবর।