• ময়নাগুড়িতে ‘নারকীয়’ হত্যায় প্রথম গ্রেপ্তার, অসমে পুলিশের জালে মূল অভিযুক্তের স্ত্রী
    প্রতিদিন | ১০ জুন ২০২৫
  • শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: ময়নাগুড়িতে শিউরে ওঠা খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্তের স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। অসমে তাঁর বাপের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার মহিলা। মঙ্গলবার ধৃতকে অসম থেকে ময়নাগুড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে। অভিযুক্তকে আজ জলপাইগুড়ি আদালতে হাজির করে তদন্তের স্বার্থে রিমান্ডের আবেদন জানাবে পুলিশ। মূল অভিযুক্তের খোঁজে চলছে তল্লাশি। 

    ধৃত মহিলার নাম সঙ্গীতা রায় গগৈ। স্বামী পরিমল রায়। এই পরিমল পেশায় কাঠমিস্ত্রী। তিনি সহকর্মী গৌতম রায়কে খুনের পর বাড়ির উঠোনে মাটি চাপা দিয়ে স্ত্রী সঙ্গীতাকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি অসমে পালিয়ে গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। সহকর্মীকে খুনের পর প্রথমে টোটো রিক্সায় কোচবিহারের চেংরাবান্দা পৌঁছন স্বামী-স্ত্রী। সেখান থেকে বাসে কোচবিহার যায় তাঁরা। কোচবিহার থেকে ট্রেন ধরে অসমের তিনশুকিয়া। সেখানে থেকে বাসে করে শ্বশুরবাড়িতে সঙ্গীতাকে রেখে পালিয়ে যায় পরিমল।

    তদন্তে নেমে পুলিশ একথা জানার পর অসম থেকে সঙ্গীতাকে গ্রেপ্তার করেন তদন্তকারীরা।সঙ্গীতাকে ধরতে অসম পাড়ি দেয় ময়নাগুড়ি পুলিশের একটি বিশেষ দল। তবে পরিমল এখনও পলাতক। স্বামী কোথায়? কেন গৌতমকে খুন করা হল?  তা জেরা করে জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

    উল্লেখ্য, বুধবার পাহাড়পুর এলাকায় একটি বাইক বাঁশঝাড়ে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। খবর দেয় পুলিশকে। তারা এসে আশপাশের বাড়িতে খোঁজ খবর নিতে গেলে সামনে আসে আরও এক রহস্যজনক ঘটনা। এক বৃদ্ধা দাবি করেন, মঙ্গলবার রাতে তাঁর বড় ছেলে পরিমল রায় কাউকে খুন করে পুঁতে রেখেছে। তারপর থেকেই নিখোঁজ হয়ে যায় দম্পতি। বৃদ্ধার কথার সূত্র ধরে পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকদের উপস্থিতিতে উঠোন খুঁড়তেই বেরিয়ে আসে যুবকের দেহ। প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, গৌতমের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিল সঙ্গীতা। দুজনের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কও ছিল। পরে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়েছিল সঙ্গীতা। অভিযোগ, তারই ফলস্বরুপ গৌতমকে খুন করে দম্পতি।
  • Link to this news (প্রতিদিন)