• সোনম কাণ্ডের ছায়া বাংলায়, স্বামীকে খুনের পর প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গেল স্ত্রী...
    আজকাল | ১১ জুন ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: গোটা দেশ যখন রাজা রঘুবংশী হত্যাকাণ্ডে তাঁর স্ত্রী সোনম রঘুবংশী এবং তাঁর প্রেমিক রাজ সিংহ কুশওয়াহার ভূমিকায় শিহরিত হয়ে রয়েছে, ঠিক সেই সময়ে মুর্শিদাবাদ জেলার ভগবানগোলা থানা থেকে প্রায় একই ধরনের একটি খুনের ঘটনার অভিযোগ সামনে এল। 

    স্ত্রীর অবৈধ প্রেমে বাধা হয়ে দাঁড়াতেই প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে খুনের অভিযোগ এক মহিলার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সকালে মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলার থানার ডাকবাংলো এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই ব্যক্তির নাম আলতাফ শেখ (৫৫)। 

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই মেয়ে এবং এক ছেলের বাবা আলতাফ গত কয়েক বছর ধরে ওড়িশায় রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। পরিবারের সঙ্গে ইদের আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার জন্য সম্প্রতি তিনি বাড়ি ফিরে এসেছিলেন। 

    মঙ্গলবার সকালে বাড়ি থেকে কয়েক মিটার দূরত্বে একটি পরিত্যক্ত দোকানের মধ্যে আলতাফের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ভগবানগোলা থানার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তে তাঁদের অনুমান ওই ব্যক্তিকে খুন করার পর দেহটি ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। আলতাফের দেহ উদ্ধারের পর থেকেই তাঁর স্ত্রী ইদোলা বিবি এবং তার প্রেমিক সালাম শেখের কোনও খোঁজ মিলছে না। ভগবানগোলা থানার পুলিশ ইতিমধ্যে একটি খুনের মামলা রুজু করে অভিযুক্তদের সন্ধানে তল্লাশি শুরু করেছে। 

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আলতাফ কর্মসূত্রে দীর্ঘদিন বাইরে থাকার সুযোগ নিয়ে বছর কয়েক আগে তারই এক দূর সম্পর্কের আত্মীয় গোবরা গ্রামের বাসিন্দা জনৈক সালাম শেখ নামে এক যুবকের সঙ্গে ইদোলার অবৈধ প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। সম্প্রতি ইদ উপলক্ষে বাড়ি ফেরার পর আলতাফ, স্ত্রীর এই সম্পর্কের কথা জানতে পারেন। এই নিয়ে দু'জনের মধ্যে তীব্র অশান্তিও হয়। 

    মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে পরিবারের সবাই ঘুমিয়ে পড়লে তাঁদেরকে একটি ঘরে তালা বন্ধ করে আলতাফকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয় ইদোলা। এরপর নিজের প্রেমিককে সঙ্গে করে বাড়ির কাছেই একটি পরিত্যক্ত দোকানে নিয়ে গিয়ে তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করে ঝুলিয়ে দেয়। 

    স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য হেলালউদ্দিন বলেন, 'প্রায় বছর দেড়েক আগে আমরা ইদোলার সঙ্গে সালামের প্রেমের সম্পর্কের কথা জানতে পেরেছিলাম। সেই সময়ে গ্রামে  একটি সালিশি সভাও বসেছিল এবং দু'জনকে এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু তারপরেও যে দু'জনের মধ্যে যোগাযোগ ছিল সেটা আমরা জানতাম না।' তিনি বলেন, 'আমি শুনেছি গতকাল রাতে ছেলেমেয়েকে একটি ঘরে তালা বন্ধ করে আলতাফকে নিয়ে বের হয়ে যায় ইদোলা। আজ সকালে ঘরের দরজা বন্ধ দেখে সবাই চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন। এরপর আলতাফের খোঁজ শুরু হতেই বাড়ির কাছে একটি দোকান থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনার পর থেকে ইদোলা এবং সালাম পলাতক রয়েছে।'
  • Link to this news (আজকাল)