• উলটপুরাণ শৈলশহরে, দার্জিলিংয়ের হোটেলে চলছে ফ্যান, এসি, আইসক্রিম খেতে ব্যস্ত পর্যটকেরা...
    আজকাল | ১১ জুন ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: গত কয়েক বছর ধরেই বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে সারা বিশ্বের পাশাপাশি উত্তরের জেলাগুলিতেও। প্রচণ্ড গরমে নাভিশ্বাস পরিস্থিতি উত্তরবঙ্গে। গত কয়েক দিন ধরে শৈল শহর দার্জিলিং পারদ ঘুরছে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। অন্যদিকে রাতের তাপমাত্রা নামলেও, ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যেই রয়েছে (সর্বনিম্ন)। যা সাধারণ তাপমাত্রা থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। 

    গত সপ্তাহ থেকে প্রচণ্ড গরমে পাহারমুখী হয়েছেন কয়েক হাজার পর্যটক। অন্যদিকে সিকিমের বিপর্যের কারণে রীতিমতো 'দার্জিলিং জমজমাট'। এসবের মাঝেই বিরূপ চিত্র পাহাড়-রানির শহরে। তাপমাত্রার হেরফেরে রীতিমতো হতাশ দেশ-বিদেশ থেকে আসা পর্যটকরা। 

    গরমের হাত থেকে বাঁচতে দূরে পাহাড়ের কোলে ঠান্ডায় কয়েকদিন ঘুরে আসার স্বপ্ন যেন এখন স্বপ্নভঙ্গের পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়েছে। হোটেলগুলিতে গরম থেকে রেহাই পেতে দেদার চলছে ফ্যান, এসি। পাহাড়ি গরম মোমো, থুপ্পা বদলে আইসক্রিম খেতে ব্যস্ত কচিকাঁচা থেকে শুরু করে সকলেই। এমন বিরূপ চিত্র বদলে দিয়েছে পাহাড়ের সাধারণ ছবিকে। 

    অন্যদিকে এই পরিস্থিতিতে মুখভার দার্জিলিঙে গরম কাপড় ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীদেরও। বছরের দুর্দান্ত মরশুমে চাহিদা নেই গরম কাপড়ের। ম্যাল রোডের পাশে থাকা মহাকাল মার্কেটে দেখা নেই ক্রেতাদের।

    কলকাতার শ্যামবাজারের বাসিন্দা কাকলী সেন জানান, দু'দিন হয়েছে অফিস থেকে ছুটি নিয়ে সপরিবারে দার্জিলিং ঘুরতে এসেছি। হাওয়াবদল তো হল না এবার। মুখভার করে তিনি আরও বলেন, ছোট থেকে বাবার সঙ্গে পাহাড়ে এসেছি বহুবার। কিন্তু আবহাওয়ার পরিবর্তনে পাহাড়ের তাপমাত্রা প্রমাণ করে দিচ্ছে বিশ্ব আজ ভয়াবহ বিপর্যয়ের সন্নিকটে।
  • Link to this news (আজকাল)