অপারেশন সিন্দুর: পাক অধিকৃত কাশ্মীর দখল করার এটাই সুযোগ ছিল, বিধানসভায় বললেন মুখ্যমন্ত্রী
বর্তমান | ১১ জুন ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: পাক অধিকৃত কাশ্মীর দখল করার জন্য এটাই ছিল ভালো সুযোগ। অপারেশন সিন্দুরের উপর আনা প্রস্তাবে বলতে গিয়ে বিধানসভায় এমনটাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলার বিরুদ্ধে যোগ্য জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনা। অপারেশন সিন্দুরের অভিযানের ফলে কোমর ভেঙে গিয়েছে জঙ্গিদের। ভারতীয় সেনারা বেছে বেছে নিকেশ করেছে জঙ্গি ও তাদের ঘাঁটিগুলিকে। পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে প্রত্যাঘাত করা হয়েছে ভারতীয় সেনার তরফে। সেটা বীরত্বের। আর ভারতীয় সেনার সেই বীরত্বকে সম্মান জানানোর জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছিল রাজ্য বিধানসভা।আজ, মঙ্গলবার রাজ্য বিধানসভার বর্ষাকালীন অধিবেশনে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে কুর্নিশ জানিয়ে একটি প্রস্তাব আনেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রস্তাবে আলোচনার জন্য অংশগ্রহণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভার কক্ষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মমতা বলেন, ‘এই প্রস্তাব আনার জন্য স্পিকারকে ধন্যবাদ। আমরা সন্ত্রাসবাদের সমর্থক নই। সন্ত্রাসবাদের কোনও ধর্ম নেই, বর্ণ নেই। পর্যটকদের উপর যেভাবে অত্যাচার করা হয়েছে, খুন হয়েছেন, তাঁদের জন্য শোকস্তব্ধ। তাঁদের পরিবারকে সমবেদনা জানাই। আমাদের রাজ্যের তিনজন মারা গিয়েছেন। হিন্দুদের প্রাণ বাঁচাতে গিয়ে মারা গিয়েছেন যিনি। তাঁকেও কুর্নিশ জানাই। বাংলায় জন্মগ্রহণ করছেন যাঁরা, কেউ দেখছি উল্লেখ করছেন না তাঁদের নাম। বাংলাকে বঞ্চিত করার কারণ নেই। স্বাধীনতা থেকে নবজাগরণে বাংলাই পথ দেখিয়েছে।’ এরপর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে হামলা কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতার জন্যই হয়েছে।তিনি বলেন, ‘দেশকে নিরাপত্তা দিতে পারেননি। আপনি আমাকে হিন্দু ধর্ম শেখাচ্ছেন? রামকৃষ্ণ, গান্ধীজির হিন্দু ধর্ম মানি। আপনাদের মতো ‘ফেক’ ধর্ম নয়। বাংলা প্রথম সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর বীরত্বকে নিয়ে আলোচনা করছে। তাদের ধন্যবাদ জানাই। ধর্মের পরিচয় জানতে চাওয়া হয়েছিল। আমি শুনেছি। পাক অধিকৃত কাশ্মীর দখল করার এটাই সুযোগ ছিল। কিন্তু সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। ইন্টেলিজেন্স ফেল করেছে। আপনারা পদত্যাগ করুন। আপনার মন্ত্রীদের এবং সেনাবাহিনীকে বিদেশে পাঠানো উচিত ছিল। আপনি যা করতে পারেননি, বিরোধীরা তা করে দেখিয়ে দিয়েছে। ভোট এলেই ‘পুলওয়ামা’ যেন করতে না হয়। এটাই আশা করব। কেন্দ্রীয় সরকারের আরও স্ট্রং হওয়া উচিত ছিল।’ এদিন রাজ্য বিধানসভায় স্পিকারের আনা প্রস্তাবে অনেকেই বক্তব্য রাখেন। সবশেষে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘১৭ জন বক্তা এই বিষয়ে বক্তব্য রেখেছেন। আমি গর্বিত এই প্রস্তাব পাস করার জন্য।’