রাজা দাস, বালুরঘাট: দেশজুড়ে অনলাইন প্রতারণা চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জ থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চলে। তাতেই সাফল্য! মঙ্গলবার ধৃতদের বালুরঘাট আদালতে তুলে ৬ দিনের হেফাজতের আবেদন করেছে পুলিশ।
ধৃতদের নাম বুলবুল হোসেন মণ্ডল, জুয়েল সরকার এবং মমিনূর মণ্ডল। তাদের কুমারগঞ্জ থানা এলাকার দত্তমাটি, বিশ্বনাথপুর এবং কালনা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দেশজুড়ে চলা আর্থিক প্রতারণা চক্রের সঙ্গে এই তিনজনের যোগ মিলেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জেলাজুড়ে সাইবার প্রতারণা চক্র সক্রিয় হয়ে উঠছিল সেই সূত্র মারফত খবর পাচ্ছিল পুলিশ। বিশেষ করে অনলাইনে আর্থিক প্রতারণা বাড়ছিল। সেই অভিযোগও পাচ্ছিল পুলিশ। সূত্র মারফত খবর মিলতেই দক্ষিণ দিনাজপুর সাইবার ক্রাইম থানা ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ সোমবার রাতভর তল্লাশি চালায় কুমারগঞ্জ থানার বিভিন্ন এলাকায়। অবশেষে তিনটি জায়গা থেকে মূল প্রতারণা চক্রের পান্ডাদের ধরা হয়। ধৃতদের থেকে ৩৩ টি এটিএম কার্ড, ৮ টি সিমকার্ড, ৬ টি অ্যান্ড্রয়েড ফোন উদ্ধার হয়। সেগুলি বাজেয়াপ্ত করেছে দক্ষিণ দিনাজপুর সাইবার ক্রাইম থানা।
কীভাবে চলত প্রতারণা? পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তরা সাধারণ মানুষদের লোন করে দেওয়ার প্রলোভন অথবা টাকার প্রলোভন দিয়ে ব্যাংক একাউন্ট তৈরি করাতো। সেই একাউন্ট প্রতারকরা ব্যবহার করে আর্থিক জলিয়াতির অর্থ একাউন্টে রাখত। যা জানতেই পারত না একাউন্টধারীরা। এদিকে সামান্য টাকার প্রলোভনে আসল একাউন্টধারীরা ফেঁসে যেত। ডিএসপি সদর বিক্রম প্রসাদ জানিয়েছেন, পুলিশের অনুমান দেশজুড়ে জাল বিস্তার করা অনলাইন প্রতারণা চক্রের সঙ্গে ধৃতদের যোগ রয়েছে। বিভিন্ন সাইবার ক্রাইম মামলার তদন্তে নেমে পুলিশ এই চক্রের হদিস পায়। জেলার পতিরাম ও কুমারগঞ্জে এই প্রতারণা চক্র সক্রিয়। সেই এলাকায় পুলিশের ফোকাস বেশি রয়েছে। তবে জেলার অনান্য প্রান্তেও তারা নজর রাখছেন।