• নিষেধ সত্ত্বেও বাসের ছাদে চেপেই ঝুঁকির যাতায়াত
    বর্তমান | ১১ জুন ২০২৫
  • সংবাদদাতা, মানকর: বাসের ছাদে যাত্রী চাপানো নিষিদ্ধ। বাসের ছাদে যাতে যাত্রী চাপতে না পারে সেজন্য ছাদে ওঠার সিঁড়ি কাটিয়ে দেওয়ারও কর্মসূচি নিয়েছিল প্রশাসন। তারপরেও পুলিস প্রশাসনের নজর এড়িয়েই বাসের ছাদে যাত্রী চাপানো হচ্ছে। ফলে বাড়ছে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা। বাসের ছাদে বসা যাত্রীদের কোনওরকম নিরাপত্তা থাকে না। যা নিয়ে বাস মালিক ও কর্মীদের বারবার সচেতনও করা হয়েছে। তারপরেও ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক বা বুদবুদ-গুসকরা সহ একাধিক রাজ্য সড়কে প্রায়ই দেখা যাচ্ছে বাসের ছাদে যাত্রী চাপাতে। ছাদ ভর্তি যাত্রী নিয়ে ব্যাপক গতিতে গন্তব্যে রওনা হচ্ছে বাস। আসানসোলগামী যাত্রী সাহেব কোনার বলেন, বাসের ছাদে যাত্রী তোলা নিয়ম বিরুদ্ধ, তা সকলেই জানেন। তবুও অনেকেই কম ভাড়ায় যাবেন বলে জানলার পাশ দিয়ে কষ্ট করে বাসের ছাদে ওঠেন।

    প্রশাসনের অভিযানের পর বাসের পিছন থেকে সরাসরি ছাদে ওঠার সিঁড়ি নেই। তবে গেটের দিকে জানলার পাশেই সিঁড়ি রয়েছে। ছাদ থেকে সিঁড়ি নেমে এসেছে জানলার নীচ পর্যন্ত। ওই সিঁড়ি দিয়েই ছাদে উঠছে যাত্রীদের একাংশ। গলসির ললিত সাহা বলেন, সাধারণ ভাড়ার থেকে কম ভাড়া দিয়ে মুড়ির বস্তা, ছানার বালতি ইত্যাদি নিয়ে কিছু মানুষ বাসের ছাদে উঠে যাওয়া-আসা করেন। বাস খুবই জোরে চলে, ফলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। 

    পানাগড়ের প্রৌঢ় নির্মলচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, জেলা প্রশাসনের তরফে অভিযান চালানোর পাশাপাশি সাধারণ মানুষ ও বাসেরকর্মীরা সচেতন না হলে এভাবে যাত্রী পরিবহণ বন্ধ হবে না। জাতীয় সড়কে বাসের ব্যাপক স্পিড থাকে। যে কোনও সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটে যাবে। বাসের ছাদে থাকা এক যাত্রী জানান, ছাদে ভাড়া কম লাগে। গরম কম লাগে। আরামে যাওয়া যায়। আর একজন বললেন, বাসের ভিতরে ভিড় রয়েছে। তাই ব্যাগ নিয়ে ছাদে উঠেছি। বিষয়টি নিয়ে এক পুলিস আধিকারিক জানান, নিয়মিত অভিযান করা হয়। অনেক বাসকে ফাইন করা হয়েছে। ফের নজর রাখা হবে।-নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)