• সামশেরগঞ্জের ধুলিয়ানে গরমের মধ্যেই পানীয় জলের তীব্র সঙ্কট, ক্ষুব্ধ শহরবাসী
    বর্তমান | ১১ জুন ২০২৫
  • সংবাদদাতা, জঙ্গিপুর: সামশেরগঞ্জের ধুলিয়ান শহরে পানীয় জলের তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে। পুরসভার অধিকাংশ ওয়ার্ডে গরমের মধ্যে পর্যাপ্ত পানীয় জল মিলছে না বলে দাবি। বেশ কিছুদিন থেকে রীতিমতো জলকষ্টে ভুগছেন শহরবাসী। কয়েকটি ওয়ার্ড ছাড়া শহরের অধিকাংশ এলাকায় জল পৌঁছয় না বলে শহরবাসীর দাবি। এলাকায় জল আসলেও মাত্র ১০ মিনিট পরই জল চলে যায়। পানীয় জল না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শহরবাসী। পুরসভাকে একাধিকবার জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। এলাকার অধিকাংশ টিউবওয়েল অকেজো অবস্থায় পড়ে রয়েছে। অনেকে জল কিনে পান করতে বাধ্য হচ্ছেন। শহরবাসীর জল সঙ্কটের অভিযোগ মেনে নিয়েছে পুর কর্তৃপক্ষ। অম্রুত প্রকল্পের অধীনে জল পরিষেবা পৌঁছে দিতে প্রকল্পের অনুমোদন মিলেছে। শীঘ্রই জলের সমস্যা মিটে যাবে বলে পুর কর্তৃপক্ষের দাবি।

    এ প্রসঙ্গে ধুলিয়ান পুরসভার চেয়ারম্যান ইনজামাম উল হক রাজা বলেন, শহরে জনসংখ্যা বেড়েছে, জলের চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু আগের পুরনো পদ্ধতিতেই জল পরিষেবা দেওয়া হয়। আম্রুত প্রকল্পের অধীনে জল প্রকল্পের কাজ চলছে। এই প্রকল্পটি গড়ে উঠলে গোটা শহরবাসী উপকৃত হবেন।

    বিগত কয়েক মাস থেকেই পুরসভার ১, ২, ৪, ১২ ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ড সহ প্রায় অধিকাংশ ওয়ার্ডে পানীয় জল আসছে না। সারাদিনে একবার বা দু’বার জল আসলেও মিলছে না জল। মাত্র দশ মিনিটের জন্য জল আসছে। ট্যাপ কল দিয়ে মিহি সুতোর মতো জল পড়ছে। সেই জল সংগ্রহ করতেই কার্যত রীতিমতো হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। বর্তমানে ধুলিয়ানবাসীর জন্য পরিস্রুত পানীয় জলের পরিষেবা রয়েছে। প্রায় বছর ১৫ আগে একটি ছোট আকারে ড্রাই প্রজেক্ট গড়ে তোলা হয়েছিল। গঙ্গা থেকে জল তুলে শোধনের পর এলাকায় জল দেওয়া হয়। বর্ষার মরশুমে গঙ্গায় পর্যাপ্ত জল থাকলে সমস্যা হয় না। তবে গ্রীষ্ম ও শীতের মরশুমে নদীর জলস্তর তলায় নেমে যায়। তখন জল পেতে সমস্যা হয়। সেই সমস্যা থেকে রেহাই মিলবে শহরবাসীর। এছাড়াও বর্তমানে জনসংখ্যা বাড়ায় জলের চাহিদাও বেড়েছে। পুরনো সিস্টেমে সমস্ত শহরবাসীকে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ধুলিয়ান শহরের বাসিন্দা রেজাউল করিম, রবি দাস, মেরিনা বিবিরা বলেন, গ্রীষ্মকালে পানীয় জলের বেশি প্রয়োজন হয় কিন্তু ওই সময় জল পাওয়া যায় না। কখনও দিনে একবার বা একদিন পর জল পাওয়া যায়। তাতেও জল নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে প্রায়শই ঝামেলা বাধে। পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, সামশেরগঞ্জের মালঞ্চায় ফরাক্কা ব্যারেজের জমিতে গড়ে উঠবে ইনটেক জেটি। পাশেই হবে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট। ফিডার ক্যানেল থেকে জল উত্তোলনের পর তা পরিস্রুত করা হবে। তৈরি হবে তিনটি নতুন রিজার্ভারও। যদি পুরসভার ১০, ১২ ওয়ার্ডে একটি করে ও ১৬ ও ২০ নম্বর ওয়ার্ডের দু’টি করে মোট ছ’টি রিজার্ভার রয়েছে। নতুন করে আরও তিনটি রিজার্ভার তৈরি করা হবে। সব মিলিয়ে ন’টি রিজার্ভারকেই কাজে লাগানো হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)