• বাড়ি বাড়ি পাঠানোর জন্য দীঘার জগন্নাথ প্রভুর প্রসাদের ৭ লক্ষ প্যাকেট তৈরি শুরু
    বর্তমান | ১১ জুন ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, তমলুক: পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদের সাত লক্ষ প্যাকেট তৈরি শুরু হল। সোমবার পুজোর পর খোয়া ক্ষীরের প্রসাদ জেলার প্রতিটি ব্লক ও পুরসভায় পৌঁছে গিয়েছে। মঙ্গলবার থেকেই বিভিন্ন জায়গায় সেই ক্ষীর দিয়ে হলুদ প্যাঁড়া ও মিষ্টি গজা বানানো শুরু হয়েছে। জেলায় মোট ১২লক্ষ পরিবার রয়েছে। প্রাথমিকভাবে সাত লক্ষ প্যাকেট তৈরি করার কাজ চলছে। ২৫টি ব্লক ও পাঁচটি পুরসভায় দক্ষ মিষ্টির কারিগররা ওই কাজে শামিল হয়েছেন। এদিন সকাল থেকেই ময়নার পূর্ণানন্দ বিদ্যাপীঠ এলাকায় প্রসাদ তৈরির কাজ শুরু হয়। স্কুলের অডিটোরিয়ামে প্যাকেজিংয়ের কাজ হবে। মঙ্গলবার দীঘায় জগন্নাথদেবের রথযাত্রার ট্রায়াল রান হয়। আজ, বুধবার স্নানযাত্রা উপলক্ষ্যে গোটা মন্দির প্রাঙ্গণ উৎসব মুখর হয়ে উঠবে।

    মঙ্গলবার তমলুক মহকুমা শাসকের অফিসে জগন্নাথ প্রভুর প্রসাদ বিলি নিয়ে একটি মিটিং হয়। সেখানে মহকুমা শাসক দিব্যেন্দু মজুমদার ছাড়াও তমলুক পুরসভার চেয়ারম্যান দীপেন্দ্রনারায়ণ রায়, পাঁশকুড়া পুরপ্রশাসক বোর্ডের চেয়ারপার্সন নন্দকুমার মিশ্র প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও এমআর ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। দীঘা জগন্নাথ মন্দির থেকে খোয়া ক্ষীরের প্রসাদ সব ব্লক ও পুরসভায় পৌঁছে গিয়েছে। এদিন মহকুমা শাসক জানান, সিসি ক্যামেরায় মোড়া একটি হলঘরের মধ্যে প্রসাদ তৈরি করতে হবে। প্রসাদ তৈরির আগে একটু পুজোর ব্যবস্থা করতে হবে। প্রসাদের অংশ নিয়ে তৈরি হবে কয়েক হাজার প্রসাদের প্যাকেট। জানা গিয়েছে, আগামী ১৩জুন থেকে পাঁশকুড়া পুরসভার বিদ্যাসাগর হলে জগন্নাথ প্রভুর প্রসাদ তৈরির কাজ শুরু হবে। এদিন পুরসভার পক্ষ থেকে তা মহকুমা শাসককে জানানো হয়েছে। সেদিন পুরসভার পক্ষ থেকে এনিয়ে একটি মিটিং ডাকা হয়েছে। তবে, মঙ্গলবার থেকেই ময়নায় প্রসাদ তৈরি শুরু হয়েছে। সোমবার ওই ব্লকের বিডিও ডিলারদের নিয়ে মিটিং করেছেন। আগামী শনিবার থেকেই অঞ্চলভিত্তিক ডিলারদের কাছে প্রসাদ পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।ময়না ব্লকের গোড়ামহাল গ্রামের রেশন ডিলার স্বপন ভৌমিক বলেন, সোমবার আমাদের সঙ্গে ব্লক প্রশাসন মিটিং করেছে। বাড়ি বাড়ি দীঘার জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব পেয়ে আমরা খুশি। শনিবার থেকেই আমাদের ব্লকে অঞ্চলভিত্তিক ডিলারদের কাছে প্রসাদের প্যাকেট ও মন্দিরের ছবি চলে আসবে বলে বিডিও জানিয়েছেন।

    মঙ্গলবার জগন্নাথদেবের প্রসাদ নিয়ে পটাশপুর-২, রামনগর-১ সহ বিভিন্ন ব্লকে মিটিং হয়। পটাশপুর-২পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি স্বপন মাইতি বলেন, দীঘার জগন্নাথ মন্দির থেকে খোয়া ক্ষীরের প্রসাদ আমাদের ব্লকে এসে গিয়েছে। মঙ্গলবার আমরা সব গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানদের নিয়ে একটা মিটিং করেছি। কীভাবে প্রসাদ তৈরি হবে এবং প্রত্যেকের বাড়ি বাড়ি যাবে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দ্রুত প্রসাদ তৈরির কাজ শুরু হবে।জেলা খাদ্য নিয়ামক অভিজিৎ ধাড়া বলেন, জেলা প্রশাসন গোটা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। রেশন ডিলারদের নিয়ে ব্লক ও মহকুমা স্তরে মিটিং হচ্ছে। কোথায়, কীভাবে তাঁদের কাছে প্রসাদ পৌঁছবে এবং তাঁরা ভক্তদের কাছে পৌঁছে দেবেন, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। 

     দীঘায় জগন্নাথদেবের মন্দিরে রথযাত্রার প্রস্তুতি।-নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)