• দীঘার জগন্নাথ মন্দিরের মহাপ্রসাদের পরিমাপ নির্দিষ্ট করল রাজ্য, ১৭ জুন থেকে বিলি নদীয়ায়
    বর্তমান | ১১ জুন ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কৃষ্ণনগর: দীঘার জগন্নাথ মন্দিরের মহাপ্রসাদ প্যাঁড়া ও গজার মাপ ও পরিমাণ নির্দিষ্ট করে দিল রাজ্য সরকার। সেই মতো প্যাকেট তৈরি হবে। তার পরেই বিতরণ। সরকারি পরিষেবা প্রদানের ধাঁচেই রাজ্যবাসীর ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে প্রভু জগন্নাথদেবের মহাপ্রসাদ। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, প্রসাদ তৈরির জন্য নির্দিষ্ট আকার, ওজন এবং গঠন নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। সেই পরিমাপেই বিতরণ করা হবে। আর এই কর্মসূচি সফল করতে নদীয়া জেলা প্রশাসন পুরোদমে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। বিভিন্ন ব্লক প্রশাসনের পক্ষে মহাপ্রসাদ তৈরির টেন্ডার ডাকা হয়েছে। এলাকাভিত্তিক মিষ্টির দোকানগুলিকে তাতে অংশ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। অনেকে টেন্ডারে অংশগ্রহণ করেছেন বলে খবর।   জানা গিয়েছে, মহাপ্রসাদের প্যাকেটে থাকবে একটি প্যাঁড়া ও একটি গজা। প্যাঁড়ার ওজন হবে ২০ গ্রাম। ব্যাসের আয়তন হবে ৪.৮ সেন্টিমিটার। পুরুত্ব থাকবে ১.১ সেন্টিমিটার। গজার ক্ষেত্রে ওজন হবে ৬০ গ্রাম। দৈর্ঘ্য ৩.২ সেন্টিমিটার এবং উচ্চতা ৩.১ সেন্টিমিটার। এই নির্দিষ্ট মাপ মেনে প্রতিটি ব্লকে প্রসাদ তৈরি করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই মহাপ্রসাদ বিলি করা হবে সরকারি পরিষেবার আদলেই—‘দুয়ারে রেশন’ কর্মসূচির আওতায়। আগামী ১৭ জুন থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত নদীয়া জেলার বিভিন্ন ব্লকের রেশন দোকান থেকে জেলাবাসীর হাতে এই মহাপ্রসাদ তুলে দেওয়া হবে। জানা গিয়েছে, নদীয়া জেলার প্রায় সাড়ে সাত লক্ষ বাসিন্দার হাতে মহাপ্রসাদ পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ চলছে জোরকদমে। 

    জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, প্রসাদের মাপ ও উপকরণ নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। সেই মোতাবেক প্রতিটি ব্লকে প্রসাদ তৈরি হচ্ছে এবং তা নির্ধারিত সময়ে মানুষের হাতে পৌঁছে দেওয়া হবে।

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে পশ্চিমবঙ্গের পর্যটনকেন্দ্র দীঘা এখন তীর্থস্থান। সেখানে জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের পর থেকেই উপচে পড়ছে দর্শনার্থীদের ভিড়। এবার সেই জগন্নাথদেবের প্রসাদ রাজ্যবাসীর ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য। তার জন্য প্রায় তিনশো কেজি খোয়া ক্ষীর দীঘার মন্দিরে পাঠিয়ে প্রভু জগন্নাথের কাছে নিবেদন করা হয়েছে। সেই ভোগ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন জেলায়। দীঘা থেকে ১০ কেজি খোয়া ক্ষীর ইতিমধ্যেই নদীয়া জেলায় পাঠানো হয়েছে প্রসাদ তৈরির জন্য। তারপর তা বিভিন্ন টেন্ডার প্রাপ্ত মিষ্টির দোকানে দেওয়া হবে। সেই প্রসাদ মিশিয়েই নির্দিষ্ট মাপের গজা ও প্যাঁড়া বানাতে হবে। জানা গিয়েছে, প্রতি জেলায় খাদ্যসাথী প্রকল্পে সব উপভোক্তাদের এই প্রসাদ দেওয়া হবে। 
  • Link to this news (বর্তমান)