নিত্য বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও লো ভোল্টেজে প্রাণ অতিষ্ঠ মহম্মদপুরের বাসিন্দাদের
বর্তমান | ১১ জুন ২০২৫
সংবাদদাতা, লালবাগ: দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও লো ভোল্টেজে জেরবার হচ্ছেন ভগবানগোলা থানার মহম্মদপুর পঞ্চায়েতের বাগডাঙা কান্দিপাড়ার বাসিন্দারা। তার উপর গোদের উপর বিষফোঁড়া হয়ে উঠেছে একাধিক জায়গায় রাস্তার উপর ঝুলে থাকা ছেঁড়া তার। একাধিকবার জানিয়েও সুরাহা হয়নি। অবশেষে মঙ্গলবার ভগবানগোলা বিদুৎ বণ্টন সংস্থার অফিস ঘেরাও করে হাতপাখা নিয়ে অভিনব প্রতিবাদে শামিল হলেন গ্রামবাসীরা। বিক্ষোভকারীরা বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার অফিসের মূল গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন। খবর পেয়ে ভগবানগোলার বিধায়ক রিয়াত হোসেন তাঁর এক প্রতিনিধিকে ঘটনাস্থলে পাঠান। প্রতিনিধির মাধ্যমে বিধায়ক খুব শীঘ্রই বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। বিধায়ক বলেন, ডাঙাপাড়া কান্দিপাড়ায় কিছুদিন ধরে বিদ্যুৎ সমস্যা রয়েছে। ওই এলাকার বিদ্যুৎ সমস্যা নিয়ে স্থানীয় বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি শীঘ্রই সমস্যা সমাধানে আশ্বাস দিয়েছেন। তবে এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়ার জন্য ব্লকের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিককে ফোন করা হলে তিনি ধরেননি।
মহম্মদপুর পঞ্চায়েতের ডাঙাপাড়া কান্দিপাড়া এলাকায় লোডশেডিং, লো ভোল্টেজ দীর্ঘদিনের সমস্যা। গরমের সময় ওই সমস্যা চরমে পৌঁছয়। কিছুক্ষণ অন্তর লোডশেডিং রোজনামচা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিদ্যুৎ থাকলেও লো ভোল্টেজে লাইট জ্বলে না, পাখা চলে না। এতে রীতিমতো নাজেহাল অবস্থা কান্দিপাড়ার কয়েকশো পরিবারের। বাচ্চা ও বয়স্ক মানুষ রয়েছে, এমন পরিবারগুলি চরম ভোগান্তির মধ্যে শিকার হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই বিদ্যুৎ বিভ্রাটে অতিষ্ঠ কয়েকশো গ্রামবাসীরা মঙ্গলবার সকালে ভগবানগোলা বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার অফিসে এসে হাজির হন। অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। বিক্ষোভকারী প্রত্যেকের হাতে হাতপাখা ছিল। বিক্ষোভ প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলে। নিয়মিত বিদ্যুৎ সরবাহের দাবিতে এদিনের বিক্ষোভে এলাকার গৃহবধূ, পড়ুয়া থেকে সর্বস্তরের মানুষ অংশ নিয়েছিলেন। শীঘ্রই বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন বলে জানান বিক্ষোভকারীরা। স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যুৎ বিভ্রাট সমস্যায় জেরবার হচ্ছি। পূর্বে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ব্লক, মহকুমা ও জেলা অফিসে একাধিকবার দরবার করেও সুরাহা হয়নি। প্রত্যেকবার আশ্বাস দিয়ে আমাদের দাবিকে ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ না থাকায় স্কুল-কলেজের ক্লাস, কৃষিকাজ এবং ঘরোয়া কাজেও সমস্যা হচ্ছে। এখন আর আশ্বাস নয়, আমাদের সমস্যা মেটাতে হবে। বিদ্যুতের দাবিতে বিক্ষোভে শামিল হয়েছিল দশম শ্রেণির পড়ুয়া রাকেশ শেখ। রাকেশ জানায়, বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জেরে সন্ধ্যার পর থেকে পড়াশোনার উপায় নেই। ফলে পড়াশোনার চরম ক্ষতি হচ্ছে।