• মাছ ধরার মরশুমের আগে বোট লাইসেন্স দেওয়া নিয়ে বিতর্ক
    বর্তমান | ১১ জুন ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: পয়লা জুলাই থেকে সুন্দরবনের ক্যানিং, ঝড়খালি ও গোসাবা এলাকায় নদীতে মাছ ধরার মরশুম শুরু হবে। সেজন্য কয়েকদিন পর থেকে দেওয়া হবে বোট লাইসেন্স সার্টিফিকেট। কিন্তু তার আগে বিষয়টি ঘিরে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। কারণ মৎস্যজীবীদের একাংশের অভিযোগ, সুন্দরবন টাইগার রিজার্ভ শুধুমাত্র গোসাবা এলাকার মৎস্যজীবীদের লাইসেন্স দেবে বলেছে। কারণ ওই এলাকাটি তাঁদের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে। বাকি এলাকা তাদের এক্তিয়ারের বাইরে। এমনটা হলে বঞ্চিত হবেন সুন্দরবনের অন্যান্য প্রান্তের প্রচুর মৎস্যজীবী। এই নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন তাঁরা। যদিও টাইগার রিজার্ভ থেকে বলা হয়েছে, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে। সূত্রের খবর, শুধু ক্যানিং মহকুমা থেকেই নয়, কুলতলি, পাথরপ্রতিমা, রায়দিঘি ইত্যাদি এলাকা থেকেও বহু মৎস্যজীবী মাতলা, বিদ্যাধরী প্রভৃতি নদীতে মাছ ধরতে আসেন। কিন্তু এবারে আদৌ তাঁরা সেটা করতে পারবেন কি না, তা নিয়েই এখন প্রশ্ন উঠেছে। বিভিন্ন মৎস্যজীবী সংগঠন এই নিয়ে টাইগার রিজার্ভের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ। সুন্দরবন মৎস্যজীবী যৌথ সংগ্রাম কমিটির সম্পাদক গোবিন্দ দাস ও সুন্দরবন মৎস্যজীবী রক্ষা কমিটির সম্পাদক শম্ভু সাহা বলেন, শুধু গোসাবার বাসিন্দা মৎস্যজীবীদের লাইসেন্স দিলে চলবে না। অন্যান্য এলাকার মৎস্যজীবীদেরকেও মাছ ধরার ছাড়পত্র দিতে হবে। এদিকে, কিছুদিন বাদেই সুন্দরবন টাইগার রিজার্ভে লাইসেন্স নিয়ে বৈঠক হতে চলেছে। সেখানে সবাইকে সেটা দেওয়ার জোরালো দাবি জানানো হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্যজীবীরা। তবে মৎস্যজীবীদের আশ্বস্ত করেছেন বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। তিনি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন, যোগ্য মৎস্যজীবীদেরই লাইসেন্স দেওয়া হবে। স্বচ্ছভাবে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। তবে বেশ কিছু অভিযোগ আমার কাছে এসেছিল। 

    এলাকার বাসিন্দাই নন, এমনকী কলকাতায় বসে কেউ কেউ বোট লাইসেন্স নিয়ে সেটা ভাড়ায় খাটাচ্ছেন। এদের কোনওভাবেই লাইসেন্স দেওয়া হবে না। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই এই ইস্যুতে সুন্দরবনের বিধায়কদের নিয়ে একটি বৈঠক করেছিলেন বনমন্ত্রী। সেখানে লাইসেন্স সহ একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল।
  • Link to this news (বর্তমান)