বাগদা-বনগাঁ সীমান্তে শুরু হল কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কাজ, রাজ্য জমি হস্তান্তরের পরই উদ্যোগ বিএসএফের
বর্তমান | ১১ জুন ২০২৫
সংবাদদাতা, বনগাঁ: বাগদায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু হল। রাজ্যের তরফে বিএসএফকে জমি হস্তান্তর করে দেওয়ার পরই এই কাজ শুরু হয়েছে। বাগদার কুলনন্দপুর থেকে পাঁচবেড়িয়া পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার এলাকায় এই কাজ চলছে। আগামী দিনে বাগদার অন্যান্য সীমান্তবর্তী এলাকায়ও বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু হবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। বাগদার পাশাপাশি বনগাঁ, গাইঘাটা ব্লকের বিস্তীর্ণ সীমান্তেও কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
সূত্রের খবর, বাগদায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার জন্য প্রায় ১০২ একর জমি প্রয়োজন। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৬৫ একর জমি বিএসএফকে হস্তান্তর করেছে রাজ্য। সেই সঙ্গে প্রশাসন জানিয়ে দিয়েছে, পুরো জমিই পাওয়া যাবে। ব্লকের এক আধিকারিক বলেন, ‘জেলা প্রশাসনের নির্দেশে আমরা জমি অধিগ্রহণ করে বিএসএফকে হস্তান্তর করেছি।’ বাগদার বয়রা, কুলিয়া, কুলনন্দপুর, লক্ষ্মীপুর, রঙঘাট সহ বেশ কিছু এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া নেই। এসব জায়গা দিয়ে অবাধে চলে অনুপ্রবেশ। কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হলে অনুপ্রবেশ বন্ধ হবে বলে আশাবাদী সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দারা। বয়রা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান অসিত মণ্ডল বলেন, ‘কাঁটাতারের বেড়া হয়ে গেলে এলাকায় চোরাচালান বন্ধ হবে। মানুষ শান্তিতে ঘুমোতে পারবে।’ এর ফলে বিএসএফের নজরদারির কাজও অনেক সহজ হবে বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বনগাঁ ও গাইঘাটা ব্লকে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বনগাঁ ব্লকে প্রায় ২৪ একর জমি প্রয়োজন। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত প্রায় ১২ একর জমি বিএসএফ-কে হস্তান্তর করা হয়েছে। গাইঘাটা ব্লকে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিতে প্রায় ১০০ একর জমি প্রয়োজন। এখনও পর্যন্ত এর অর্ধেক জমি বিএসএফকে দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
বনগাঁ মহকুমার প্রায় ৯২ কিলোমিটার অংশে রয়েছে সীমান্ত। এর মধ্যে ৭২ কিলোমিটার স্থল সীমান্ত, ২০ কিলোমিটার জল সীমান্ত। এর মধ্যে প্রায় ২০ কিলোমিটার অংশে কাঁটাতারের বেড়া ছিল না এতদিন। এই পথ দিয়ে দুষ্কৃতীরা ভারতে ঢুকে নানা অসামাজিক কাজে যুক্ত হতো। বাসিন্দাদের দাবি, এবার কমবে দুষ্কৃতীদের আনাগোনা।