স্নানযাত্রা উৎসব শুরু দিঘা জগন্নাথ মন্দিরে। ১০৮ তীর্থের জল দিয়ে স্নান করানো হবে জগন্নাথকে। মূল মন্দিরের দক্ষিণ পাশে করা হয়েছে বিশেষ স্নান বেদি। সেখানেই হবে স্নান যাত্রার নানা আচার-অনুষ্ঠান। বুধবারের পর থেকেই শারীরিক অসুস্থতার কারণে জগন্নাথ দর্শন দেবেন না। রথযাত্রার একদিন আগে ২৬ জুন ফের দেবদর্শন করা যাবে। তবে, এই ১৫ দিন মন্দির খোলা থাকছে।
জগন্নাথ ধামের ট্রাস্টি বোর্ডের অন্যতম কলকাতা ইস্কনের সহ-সভাপতি রাধারমন দাস জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের বাড়ির গাছের আম ও কাঁঠাল পাঠিয়েছেন জগন্নাথ দেবের জন্য। আজ দুপুরে ৫৬ ভোগ দেওয়ার সময়ে সেগুলি নিবেদন করা হবে। সকাল থেকেই শুরু হয়েছে স্নানযাত্রার তোড়জোড়। ১০৮টি তীর্থের জল, পঞ্চামৃত, বিভিন্ন ফলের রস এবং অন্যান্য পবিত্র দ্রব্য দিয়ে জগন্নাথকে স্নান করানোর জন্য স্নান বেদিতে নিয়ে যাওয়ার হয়।
রাধারমন বলেন, ‘আজ সকাল থেকেই দিঘায় বৃষ্টি হচ্ছে। স্বয়ং ইন্দ্রদেবও জগন্নাথ দেবকে স্নান করাতে চাইছেন। নিয়ম নেন জগন্নাথ দেবের মহা স্নানযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে।’ আগামী ২৬ জুন হবে নবযৌবন ও নেত্র উৎসব হবে। এর পরে ২৭ জুন আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে পালিত হবে রথযাত্রা। মাসির বাড়িতে যাবে রথের নিম কাঠের (দারু ব্রহ্মের) মূর্তি, আর মূল মন্দিরেই থাকবে পাথরের বিগ্রহ। রথের দড়ি টেনে, ভক্তিরস উপভোগ করতে প্রস্তুত দিঘা। ইতিমধ্যে রথযাত্রার সমস্ত প্রস্তুতি শেষ।
অন্যদিকে রথযাত্রার আগেই রাজ্যের সব জেলায় জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ পৌঁছে দেওয়ার তোড়জোড় চলছে জোরকদমে। জেলায় জেলায় পৌঁছতে শুরু করেছে দিঘার জগন্নাথদেবের সামনে নিবেদন করা খোয়াক্ষীর। ১৫ জুনের মধ্যে সেই খোয়াক্ষীর দিয়ে মিষ্টি তৈরির কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এর পরেই দুয়ারে রেশনের মাধ্যমে সেই প্রসাদ বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হবে।