এই সময়, জলপাইগুড়ি: খাবার বাবদ বিল হয়েছিল ১০ হাজার টাকা। ওই বিল না চুকিয়ে হোম স্টে থেকে চলে যাওয়ার অভিযোগ উঠল জলপাইগুড়ি জেলাশাসকের দপ্তরের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে। এর মধ্যে একজন সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের জেলা সভাপতি। যদিও দু’জনই তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা আইনি পদক্ষেপের হুমকি দিয়েছেন।
কালিম্পং জেলার গরুবাথান ব্লকের লামাগাঁও সাইলেন্ট ভ্যালি হোম স্টের কর্ণধার সুব্রত বসু সম্প্রতি একটি ফেসবুক পোস্ট করেন, যা ভাইরাল হয়। পোস্টে তিনি বলেন, জেলাশাসক দপ্তরের কর্মী নিরুপম মুস্তাফি এবং কৃষ্ণেন্দু মাইতি গত মে মাসের ৯ এবং ১০ তারিখ সাইলেন্ট ভ্যালি হোম স্টেতে ১২ জনের জন্য পাঁচটি ঘর বুক করে ছিলেন। দু’দিনের শুধুমাত্র থাকার বিল হয় ২১ হাজার টাকা। এছাড়া খাবার বিল পৃথক। আগাম বুকিংয়ের জন্য ৫ হাজার এবং ৯ তারিখ সেখানে গিয়ে আরও ১০ হাজার টাকা পেমেন্ট করেন তাঁরা বলে জানান সুব্রত।
তিনি বলেন, ‘৯ তারিখ বিকেলের পর নিরুপম জানান, ১০ তারিখ সকালেই তাঁরা চলে যাবেন। পাহাড়ের নিয়ম অনুসারে রুম বুক করে না থাকতে চাইলেও গেস্টকে পুরো টাকা দিতে হয়।’ যদিও শেষ পর্যন্ত ঘরভাড়ার ৬ হাজার টাকা ছেড়ে দেওয়া হয় বলে দাবি হোম স্টে মালিকের।
যেহেতু এতজনের খাবারের যাবতীয় জোগার হয়ে গিয়েছিল, তাই তাঁদের খাবার বাবদ ১০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা বলা হয়। অভিযোগ, নিরুপম টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও মাত্র ৫০০ টাকা দিয়ে চলে যান। বিষয়টি নিয়ে সুব্রত কোতয়ালি থানা, জেলা পুলিশ সুপার, জেলাশাসক এবং রাজ্যের সেচমন্ত্রীর কাছে ই-মেলের মাধ্যমে অভিযোগ করেছেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ফেডারেশনের নেতা নিরুপম বলেন, ‘বুকিং নিয়ে কোনও কথাই হয়নি। আমাদের সঙ্গে থাকা এক কর্মীর পারিবারে কিছু সমস্যা হওয়ায় আমরা চলে আসতে বাধ্য হই। আসার আগে খাবার বাবদ ৫ হাজার টাকা দিয়ে এসেছি। ঘর ভাড়া বাবদ ১৫ হাজার টাকা দিয়েছি। তাও আবার অনলাইনে। সমস্ত প্রমাণ আমাদের আছে।’
তিনি জানান, তাঁদের বিরুদ্ধে মদ্যপ অবস্থায় বেলেল্লাপানার অভিযোগ তোলা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তিনি যেহেতু জেলাশাসকের দপ্তরের কর্মী, তাই এই অভিযোগ ওঠায় বিষয়টি তদন্ত করতে জেলা পাবলিক গ্রিভেন্স সেলের কাছে অনুরোধ করেছেন। তাঁর অভিযোগ, গ্রিভেন্স সেলের পক্ষ থেকে ডেকে পাঠানো হলেও সুব্রত আসেননি। আগামী সাত দিনের মধ্যে তিনি যদি অভিযোগের প্রমাণ দিতে না পারেন তাহলে আইনি পদক্ষেপ করা হবে বলে হুমকি দেন নিরুপম।