সোদপুরের তরুণীকে আটকে রাখার অভিযোগে মূল অভিযুক্ত আরিয়ান খানকে বুধবারই কলকাতার গল্ফগ্রিন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ দিকে পুলিশের হাতে ধরা পড়তেই অন্য সুর আরিয়ানের। সূত্রের খবর, পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরিয়ান জানিয়েছেন, ওই তরুণীকে তাঁরা আটকেও রাখেননি, কোনওরকম অত্যাচারও করেননি। বরং ওই তরুণী নিজেই এসেছিলেন বলে দাবি আরিয়ানের। আরিয়ান খানকে এ দিন হাওড়া আদালতের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে তোলা হলে বিচারক ৯ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
আরিয়ানের আরও দাবি, ওই তরুণী তাঁর সঙ্গে শিমলা, দিল্লি, আজমেঢ় শরিফ গিয়েছিলেন। যদিও সূত্রের খবর, কাজের টোপ দিয়ে জোর করে ওই তরুণীকে বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। শুধু তাই নয়, সোদপুরের তরুণীকে মারধর, মাথার চুল কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আরিয়ান ও তাঁর মা শ্বেতা খানের বিরুদ্ধে।
পুলিশ সূত্রে খবর, আরিয়ানের দাবি, স্বামীর সঙ্গে ঝামেলার কারণে ওই তরুণীর মুখে সম্ভবত আঘাত লাগে। আর চুল কাটার বিষয়ে আরিয়ানের যুক্তি, যখন ওই তরুণী তাঁদের বাঁকড়ার বাড়িতে আসেন, তখন তাঁর চুল নিয়ে সমস্যা হতো। বারবার মুখে পড়ত সেই চুল। তাই শ্বেতা তাঁর অনুমতি নিয়েই সেই চুল কাটেন।
আরিয়ান নাকি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরও দাবি করেন, তাঁদের পর্ন ভিডিয়োর কোনও ব্যবসা নেই। মুম্বইয়ে কাজ করতেন। কোভিডের সময়ে চলে আসেন এবং একটি ইউটিউব চ্যানেল খোলেন। সঙ্গে একটি প্রোডাকশন হাউসও খোলেন।
কিন্তু কোনও দোষই যখন নেই, তা হলে এ ভাবে মা-ছেলে বাড়ি ছেড়ে পালালেন কেন? আরিয়ান জানিয়েছেন, ইদের দিন বাড়িতে পুলিশি অভিযান হয়। তাতেই ভয় পেয়ে পালিয়ে যান। সূত্রের দাবি, অন্যের ফোন থেকে মায়ের সঙ্গে তাঁর কথাও হয়েছে বলে জানান আরিয়ান। তা হলে মা কোথায়, তা তো তাঁর জানার কথা। আরিয়ান জানিয়েছেন, ফুলটুসি বেগম ওরফে শ্বেতা খান কোথায় গা ঢাকা দিয়েছেন, তা তিনি জানেন না। যদিও এ দিন আরিয়ানকে গ্রেপ্তারের পর ডিসিপি দক্ষিণ সুরেন্দ্র সিং সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, হেফাজতে নিয়ে আরিয়ানকে জেরা করবেন তাঁরা।