• কোডওয়ার্ড ‘হানিমুন’, হোটেলে যুবকের সঙ্গে স্ত্রীকে হাতেনাতে পাকড়াও করলেন স্বামী
    এই সময় | ১২ জুন ২০২৫
  • ‘হানিমুন’। এটাই কোডওয়ার্ড। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই কোডের আড়ালে রমরমিয়ে দেহব্যবসা চালানোর অভিযোগ উঠল এক বিবাহিত মহিলার বিরুদ্ধে। বুধবার কালিয়াচকের একটি হোটেল থেকে এক যুবকের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ওই মহিলাকে পাকড়াও করেন তাঁর স্বামী। যদিও পুলিশে অভিযোগ জানাননি তিনি।

    জানা গিয়েছে, ১৬ মাইল এলাকার বাসিন্দা পেশায় ব্যবসায়ী ওই যুবকের বিয়ে হয় কালিয়াচকের রাজনগর এলাকার ২২ বছর বয়সী এক তরুণীর সঙ্গে। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীর চালচলন দেখে সন্দেহ দানা বাধে। তাঁর দাবি, স্ত্রীর বাড়িতে মন বসত না। দীর্ঘক্ষণ বাইরে কাটাতেন, দামী দামি পোশাকআশাক পরতেন। কিন্তু স্ত্রীকে হাতেনাতে ধরতে পারছিলেন না। একদিন স্ত্রীর মোবাইল হাতে পান। তখনই পর্দাফাঁস হয়।

    ব্যবসায়ী স্বামীর অভিযোগ, স্ত্রীকে অনেকেই মেসেজ করতেন। কিন্তু মেসেজের শুরুতে যারা হানিমুন লিখতেন, তাঁদের সঙ্গেই হোটেলে যেতেন ওই তরুণী। মেসেজে দরদামও ঠিক হতো।

    স্বামীর দাবি, স্ত্রীকে তিনি ভালোবাসেন। কিন্তু এই অন্যায় কাজ বরদাস্ত করতে পারছেন না। পুলিশ তাঁকে সাহায্য করলে বড়ই উপকার হয়। সাহায্য করে পুলিশ। সদলবলে হাজির হয় হোটেলে। তখনই এক যুবকের সঙ্গে হাতেনাতে ধরা পড়ে যান স্ত্রী। তবে ব্যাপারটা সহজ হয়নি। পুলিশ এবং স্বামীকে দেখেই হোটেলের ছয়তলার ছাদ থেকে পাশের বিল্ডিং-এ লাফিয়ে পালাবার চেষ্টা করেন ওই তরুণী। তবে লাভ হয়নি। হাতেনাতে ধরা পড়ে যান। তবে তাঁর পালিয়ে যান তাঁর সঙ্গী যুবক।

    পুলিশ জানিয়েছে, স্বামী বা স্ত্রী কেউই লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি। তবে কালিয়াচকের ওই হোটেলটির ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এত অল্প সময়ের জন্য কিভাবে এক যুগলকে রুম ভাড়া দেওয়া হলো, এক্ষেত্রে তাদের কাছ থেকে পরিচয় পত্র জমা নেওয়া হয়েছিল কি না তাও দেখছে পুলিশ।

    প্রসঙ্গত, হানিমুন-মার্ডার কাণ্ডে উত্তাল দেশ। রাজা রঘুবংশীকে মেঘালয়ে হানিমুনে নিয়ে গিয়ে ঠান্ডা মাথায় খুন করা হয়। এর নেপথ্যে ছিলেন তাঁরই স্ত্রী সোনম রঘুবংশী। অভিযোগ এমনই। এর মধ্যেই ফের হানিমুন কাণ্ড সামনে এলো।

  • Link to this news (এই সময়)