খবর এসেছিল কলকাতা পুলিশের এসটিএফের কাছ থেকে। সাদা রঙের এসইউভি নিয়ে কয়েক জন দুষ্কৃতী অশোকনগরে ঘুরছে। সেই মতো সোমবার রাতে অশোকনগরের কচুয়া-দিঘিরহাট রোডের মেনা এলাকায় নাকা তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। সন্দেহজনক একটি গাড়ি ঘিরে ফেলে উদ্ধার করা হয় দু’টি দেশি পিস্তল, চার রাউন্ড কার্তুজ। গাড়ির ডিকি থেকে একটি হলুদ বস্তায় মিলেছে প্রায় সাড়ে ৩০ কেজি গাঁজা।
এই ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে গাড়িতে থাকা ছ’জন। ধৃতেরা হল, ডায়মন্ড হারবারের বাসিন্দা সায়েদ সাইদুল ইসলাম, আব্দুল বারিক, রফিক আলি, তিলজলার বাসিন্দা গুলজ়ার মহম্মদ, পটনার বাসিন্দা রুস্তম খান ও অশোকনগরের দিঘিরহাটের বাসিন্দা দীনবন্ধু মণ্ডল। পুলিশ জানায়, প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই অতীতে একাধিক অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। কয়েক বার জেলও খেটেছে তারা।
কয়েক মাস আগে কলকাতা পুলিশের এসটিএফের হাতে ৯০ রাউন্ড কার্তুজ ও ১২টি সেভেন এমএম পিস্তল-সহ ধরা পড়ে ইজ়রাইল শেখ নামে পটনার বাসিন্দা এক অস্ত্র ব্যবসায়ী। বর্তমানে সে জেল হেফাজতে। পুলিশের দাবি, তারই শাগরেদ রুস্তম। পুলিশের নজর তখন থেকেই তার উপরে ছিল। গাঁজা পাচারের পাশাপাশি এলাকায় অভিযুক্তদের বড় দুষ্কর্ম করার ছক ছিল বলে মনে করছে পুলিশ। মঙ্গলবার ধৃতদের বারাসত জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
বারাসত পুলিশ জেলার অতিরিক্ত সুপার (জ়োনাল) অতীশ বিশ্বাস অশোকনগর থানায় এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে জানান, প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, অশোকনগরের দীনবন্ধু অভিযুক্তদের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। কয়েক মাস আগে ডাকাতির একটি মামলায় দীনবন্ধুকে অশোকনগর থানা গ্রেফতার করেছিল। জেলে যাওয়ার পরে অভিযুক্তদের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। বারাসত আদালতে চলা সেই মামলায় জামিনে মুক্ত ছিল সে।