হংকংয়ের কাছে হারের পর এশিয়ান কাপে ভারতের যোগ্যতা অর্জন নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। র্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে থাকা দলের কাছে এই হার কেউই মেনে নিতে পারছেন না। ভারতীয় ফুটবলের ‘পচা’ এই সিস্টেম বদলে দেওয়ার ডাক দিয়েছেন বাইচুং ভুটিয়া। কড়া পদক্ষেপ চান আইএসএলের দুই দলের মালিক। ক্ষিপ্ত প্রাক্তন ফুটবলারেরাও।
সংবাদ সংস্থাকে বাইচুং বলেছেন, “এই হার অত্যন্ত দুঃখজনক। এখন তো এশিয়া কাপের যোগ্যতা অর্জন করতে গিয়েও নাজেহাল হয়ে যাচ্ছি। উজ়বেকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, জর্ডনের মতো দেশ বিশ্বকাপে খেলবে। আর আমাদের এশিয়ান কাপ খেলতে গিয়ে অবস্থা খারাপ হয়ে যাচ্ছে।”
হংকংয়ের কাছে হারের পর মানোলো মার্কেজ় পদত্যাগ করেছেন বলে শোনা গিয়েছে। যদিও ফেডারেশন সরকারি ভাবে এখনও কিছু জানায়নি। সুনীল ছেত্রীর অবসর ভেঙে ফেরাও মেনে নিতে পারছেন না বাইচুং। বলেছেন, “ওকে ফিরতে দেখে ভাল লেগেছিল ঠিকই। কিন্তু খুবই খারাপ সিদ্ধান্ত। মানোলোর উচিত হয়নি ওকে অবসর ভাঙার অনুরোধ করা। এখন শুনছি ফেডারেশনও সুনীলকে ফিরে আসতে বলেছিল। তাতে কী বদল হয়েছে? তৃণমূল স্তরে কোনও কাজ হচ্ছে না। মাঠের বাইরে শুধু বিতর্কের খবর। জাতীয় দলের পারফরম্যান্সেও তার প্রভাব পড়ছে।”
প্রাক্তন ফুটবলার গৌতম সরকার বলেছেন, “আমরা এক ইঞ্চিও এগোইনি। জাতীয় দলে সুনীল এখনও অপরিহার্য খেলোয়াড়। ভাবা যায়! এর জন্য দায়ী ফেডারেশন। দায়িত্ব পালনে সম্পূর্ণ ব্যর্থ।” সুব্রত ভট্টাচার্য বলেছেন, “বিদেশি কোচ মানেই সাফল্য আনবেন এমন কোনও কথা নেই। আগে তো পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়, অমল দত্তেরা অনেক সাফল্য এনে দিয়েছেন। আইএসএলে বিদেশিদের খেলিয়েও কোনও লাভ নেই। ভারতীয় কোচেরাই এ ব্যাপারে এগিয়ে থাকবে।”
আইএসএলের দলগুলিও যে এই ফলাফল ভাল ভাবে নিচ্ছে না তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। ম্যাচের পরেই বেঙ্গালুরুর মালিক পার্থ জিন্দল সমাজমাধ্যমে লেখেন, “এই ফলাফল কখনওই প্রত্যাশিত নয়। কোনও পরিস্থিতিতেই মেনে নেওয়া যায় না। ফেডারেশনের গভীর পর্যবেক্ষণ দরকার। ভারতীয় ফুটবলের পাশে আমরা যারা রয়েছি এবং কষ্টার্জিত টাকা বিনিয়োগ করছি, তারা এই দৃশ্য দেখতে চাই না।”
এফসি গোয়ার মুখ্যকর্তা রবি পুস্কুর লিখেছেন, “হংকংয়ের কাছে হারের পর খেলোয়াড়, কোচ, ফেডারেশন, ক্লাব সকলের সমালোচনা করা হচ্ছে। তবে সত্যিটা হল, আমরা সকলেই দোষী। আমি নিজেও। আমরাই দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো খেলোয়াড়দের বেতন বাড়িয়ে যাচ্ছি। জানি যে এ ভাবে বেশি দিন চলতে পারে না।”