রাতের অন্ধকারে বোনের বিছানায় শুয়ে পড়েছিল দাদা। অভিযোগ, শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে ওই যুবক। সঙ্গে সঙ্গে চিৎকার করে ওঠে নাবালিকা বোন। তাঁর চিৎকারে ছুটে আসেন বাড়ির সদস্যরা। ব্যাপক মারধর করা হয় যুবককে।
মঙ্গলবার গভীর রাতে সকলের চোখে ফাঁকি দিয়ে প্রাণ হাতে নিয়ে পালিয়ে যায় যুবক। বুধবার সকালে ওই দাদা বাড়িতে আসতেই ফের শুরু হয় বচসা। ছুটে আসেন এলাকাবাসীরাও। দুপুর নাগাদ তাঁদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি, মারধরের সময় পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় ওই যুবকের। মৃত যুবকের নাম সুরজিৎ জানা (২৬)। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর থানার চাঁইপাট বাজার সংলগ্ন এলাকার এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে কাকুর মেয়ে (খুড়তুতো বোন)-র বিছানায় শুয়ে পড়েছিল দাদা সুরজিৎ। এমনিতেই পাড়া-প্রতিবেশীদের চোখে সুরজিৎ মোটেই ভালো ছেলে ছিল না! তাঁর নামে একাধিক বার উঠেছে নানা অভিযোগ।
মঙ্গলবার রাতের ওই ঘটনার পর বুধবার সকালে সুরজিৎ বাড়ি ফিরে নানা সাফাই দেওয়ার চেষ্টা করে। এরপর প্রথমে বাড়ির লোক, পরে এলাকাবাসীদের সঙ্গে তুমুল বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। সেই সময়ই এলাকার বেশ কয়েকজন মারধর করায় রাস্তাতেই লুটিয়ে পড়ে সুরজিৎ। পরে তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দাসপুর থানার পুলিশ।
বুধবার সন্ধ্যা নাগাদ জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘ধৃতের পরিবারের (মা-এর) লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের বৃহস্পতিবার আদালতে পেশ করা হবে। তদন্তে সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’