সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার: আলিপুরদুয়ার পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সুভাষপল্লির কালজানি বাঁধ চত্বরে মঙ্গলবার রাতে চাকু নিয়ে এক যুবকের উপর হামলার ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায়। জখম যুবকের বাবা তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি’র স্থানীয় নেতা। যদিও আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে চিকিৎসার পর জখম যুবককে রাতেই ছেড়ে দেওয়া হয়। অন্যদিকে, অভিযুক্ত যুবককে পুলিস গ্রেপ্তার করে।
অসহ্য গরমের কারণে রাতে খাওয়াদাওয়া করে আকাশ সরকার ও রোহিত রায় নামে দুই যুবক কালজানি বাঁধে হাওয়া খেতে বেরিয়েছিলেন। সেই সময় সেখানে স্কুটার নিয়ে আসে সুরজ থাপা নামে আর এক যুবক। ওই ওয়ার্ডেরই রামকৃষ্ণপল্লির বাসিন্দা সুরজের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন সুভাষপল্লির দুই যুবক আকাশ ও রোহিত। অভিযোগ, সেই সময় সুরজ থাপার চাকুর আঘাতে রক্তাক্ত হন আকাশ। জখম যুবকের বাবা গোপাল সরকার তৃণমূল সমর্থিত টোটো ইউনিয়নের স্থানীয় নেতা। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়।
যদিও ধৃতের পরিবারের দাবি, সুরজ নির্দোষ। তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে। ধৃতের দাদা সঞ্জীব থাপা পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, তাঁদের বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছে আকাশের বাবা গোপাল সরকার ও তার লোকজন। গোপালবাবু অবশ্য বলেন, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। পুলিস তদন্ত করলেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে। রামকৃষ্ণপল্লির ওই যুবক বিনা প্ররোচনায় আমার ছেলেকে চাকু মেরেছে।
তবে ঠিক কী নিয়ে ওই যুবকদের মধ্যে বচসা হয়েছিল তা জানা যায়নি। পুলিস ঘটনার তদন্তে নেমেছে। ধৃতের দাদা বলেন, পুলিসের কাছে আমরাও এ ব্যাপারে অভিযোগ জানাব। আলিপুরদুয়ার থানার আইসি অনির্বাণ ভট্টাচার্য বলেন, রাতে একটি চাকু মারার ঘটনা ঘটেছে। সুরজ থাপা নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।
উল্লেখ্য, রাতে তো বটেই দিনের বেলাতেও শহরের কালজানি নদীবাঁধে নানা ধরনের অসামাজিক কাজের আসর বসে। মদ, জুয়ার ঠেক থেকে আগেও গণ্ডগোল হয়েছিল। অসামাজিক কাজের জন্য নদীবাঁধ সংলগ্ন বাসিন্দারাও অতিষ্ঠ। যদিও পুলিসের দাবি, অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধে মাঝেমধ্যেই কালজানি নদীবাঁধে অভিযান চালানো হয়।