বাঁধের কাজ অসম্পূর্ণ, ভাঙনের আশঙ্কায় ময়নাতলির বাসিন্দারা
বর্তমান | ১২ জুন ২০২৫
সংবাদদাতা, ধূপগুড়ি: বাঁধের কাজ অসম্পূর্ণ। বর্ষায় ফের বাড়বে নদীর জল। শুরু হবে পাড় ভাঙন। এই ভাঙন থেকে কবে রক্ষা হবে? নদীর তীরে বসে একথা ভাবছিলেন ধূপগুড়ির মাগুরমারি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ময়নাতলি এলাকার আলেমা বিবির মতো গ্রামের মহিলারা।
কারণ, ইতিমধ্যেই জলঢাকা নদীর গ্রাসে বিঘের পর বিঘে কৃষিজমি ও বাড়িঘর নদীতে তলিয়ে গিয়েছে। বাধ্য হয়ে গ্রামবাসী একত্রিত হয়ে আন্দোলন শুরু করেন। ছুটে আসেন সেচমন্ত্রী। ধূপগুড়ির বিধানসভা উপ নির্বাচনে তৃণমূল জেতার পর কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে ১০৫০ মিটার বাঁধের কাজ শুরু হয়। কিন্তু শুরু থেকেই বাঁধের কাজ নিয়ে নিম্নমানের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন এলাকাবাসী।
অভিযোগ, ৫০০ মিটারের মতো বাঁধের কাজ সম্পূর্ণ হলেও এখনও ৫৫০ এর মতো বাঁধের কাজ বাকি। ফলে, চলতি বর্ষায় ফের ভাঙনের আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন নদীর তীরের বাসিন্দারা। গ্রামবাসীর দাবি, ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে ভাঙন। বিষয়টি সেচদপ্তরের রিভিউ মিটিং-এ তুলেন ধূপগুড়ির বিধায়ক। সেখানে উঠে আসে ঠিকাদার সংস্থার ঢিলেমির অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে বিধায়ক নির্মলচন্দ্র রায় বলেন, আমি বিষয়টি তুলছি। দেখছি কি করা যায়। স্থানীয় বাসিন্দা মমিনুর ইসলাম বলেন, ভেবেছিলাম বর্ষার আগে বাঁধের কাজ শেষ হবে। কিন্তু কোথায়? ফের তো পাড় ভাঙা শুরু হল। সুলতানা পারভীন বলেন, ফের নদীতে তলিয়ে যাবে কৃষিজমি। স্থানীয় তৃণমূল নেতা বাবলু হোসেন বলেন, ধূপগুড়ির বিধায়ক সাধারণ মানুষের কথা ভেবে বাকি বাঁধের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার উদ্যোগ নিক। নিজস্ব চিত্র।