তৃণমূল বুথ সভাপতির বিরুদ্ধে বেশি কর আদায় ও তছরুপের অভিযোগ
বর্তমান | ১২ জুন ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, রানাঘাট: দিনের পর দিন জনগণের থেকে সংগৃহীত কর তছরুপের অভিযোগ উঠেছে ফুলিয়া টাউনশিপ পঞ্চায়েতের কর সংগ্রাহক কর্মী প্রতীক গুপ্তের বিরুদ্ধে। এদিন তাঁকে প্রধান হাতেনাতে ধরে ফেলেন বলে দাবি। ওই কর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে বিডিও অফিসের সামনে অবস্থান শুরু করেন পঞ্চায়েত প্রধান সহ অন্যান্য সদস্যরা। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ফুলিয়া টাউনশিপ পঞ্চায়েতের ওই চুক্তিভিত্তিক কর্মী সাত বছর করে কর্মরত। শুধু তাই নয়, ফুলিয়া অঞ্চলে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতিও বটে। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই সাধারণ মানুষের থেকে করের ৭ থেকে ৮ গুণ বেশি টাকা আদায় করত সে। সেইমতো দিত পঞ্চায়েতের রসিদও। যদিও পঞ্চায়েতে জমা পড়ত নির্ধারিত কর। শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতির সহকারী সভাপতি চঞ্চল চক্রবর্তী বলেন, ২৪ জানুয়ারি উজ্জ্বলা বসাক নামে এক করদাতার থেকে প্রতীক ৬৫০০ টাকা নেয় কর বাবদ। রসিদ দিয়েছে সেখানে। অথচ পঞ্চায়েতে জমা পড়েছে ৮১৫ টাকা। পরে বিষয়টি আমরা জানতে পারি। কমবেশি প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা এরকম ভাবে হেরফের করেছে প্রতীক। বহুবার আমরা বিডিওর কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। কিন্তু তিনি কোনও ব্যবস্থা নেননি। হয়তো অভিযুক্ত প্রতীক শাসকদলের নেতা হওয়ায় বিডিও সাহস পাননি ব্যবস্থা নেওয়ার। তৃণমূলের তরফে শান্তিপুর ব্লক বি তৃণমূলের সভাপতি কানাই দেবনাথ বলেন, তৃণমূল এই ধরনের দুর্নীতি প্রশ্রয় দেয় না। কেউ অন্যায় করে থাকলে সেই অন্যায়ের দায় একমাত্র তার। পুলিস বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করুক। সেই তদন্তে যা উঠে আসবে সেই অনুযায়ী আইন ব্যবস্থা নিক। প্রসঙ্গত, বুধবার পঞ্চায়েতে বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর খবর দেওয়া হয় শান্তিপুর থানায়। পুলিস ঘটনাস্থলে এসে আটক করে অভিযুক্ত ওই কর্মীকে। তার বিরুদ্ধে পঞ্চায়েতের তরফে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। এ বিষয়ে শান্তিপুরের বিডিও সন্দীপ ঘোষ বলেন, অভিযোগ পাওয়া মাত্র তা থানায় জানিয়েছি।