• স্ট্র্যান্ড রোডে পুলিশের উপর হামলায় ধৃত বাংলাদেশি নাগরিক, ২০ বছর ধরে ভারতে বাস
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১২ জুন ২০২৫
  • কলকাতার স্ট্র্যান্ড রোডে শনিবার রাতে চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে। দুই পুলিশকর্মীর উপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় এক ব্যক্তি। পরে জানা যায়, অভিযুক্ত ব্যক্তি আসলে বাংলাদেশের নাগরিক এবং সে ভারতে রয়েছে অবৈধভাবে। ধৃত বাংলাদেশি নাগরিকের নাম সুলতান। বর্তমানে সে পুলিশি হেফাজতে রয়েছে।


    পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে, সুলতানের জন্ম বাংলাদেশে। সে ২০০৬ সালে বেনাপোল সীমান্ত পেরিয়ে চোরাপথে ভারতে প্রবেশ করে। এরপর শিয়ালদা হয়ে কলকাতায় এসে হাওড়ার ফুলবাজার থেকে ফুল কিনে মল্লিকবাজার এলাকায় বিক্রি শুরু করে। দীর্ঘ সময় ধরে এ দেশে বসবাস করলেও তাঁর কাছে ভারতের কোনও বৈধ পরিচয়পত্র নেই। পুলিশ আরও জানাচ্ছে, ওই ব্যক্তি নিয়মিত মাদকাসক্ত। ঘটনার দিনও সে নেশাগ্রস্ত অবস্থাতেই ঘোরাফেরা করছিল বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে।

    শনিবার রাতে স্ট্র্যান্ড রোডে এক কনস্টেবলের চোখে পড়ে, এক ব্যক্তি লোহার রড হাতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ফুটপাথে। সন্দেহজনক আচরণ দেখে ওই কনস্টেবল রডটি কেড়ে নেন। এরপর থানার ভিতর থেকে ডিউটি শেষ করে বেরোচ্ছিলেন এএসআই পার্থ চন্দ ও কনস্টেবল সুখেন্দু মাঝি।সেই মুহূর্তে আচমকাই সুলতান ছুরি হাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে দু’জনের উপর। পুলিশ সূত্রে খবর, ছুরির কোপে পার্থবাবুর মুখে গভীর ক্ষত সৃষ্টি হয় এবং সুখেন্দু মাঝিও আহত হন। দুই পুলিশকর্মীকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।ধস্তাধস্তির সময় সুলতান নিজেও সামান্য জখম হয়েছে। তাঁকেও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য, তারপর পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।

    নর্থপোর্ট থানার পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই তার বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। বেআইনি অনুপ্রবেশ থেকে শুরু করে অস্ত্র আইনে, এমনকী সরকারি কর্মীর উপর হামলার অভিযোগেও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।পুলিশের একাংশের অনুমান, এই ব্যক্তি কোনও বড়সড় চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে। তদন্তকারীরা তার অতীত ও কোনও চক্রের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে কি না খতিয়ে দেখছেন। তার মোবাইল রেকর্ড, পরিচিত লোকজন এবং গতিবিধিও খতিয়ে দেখা হবে বলে সূত্রের খবর।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)