অয়ন ঘোষাল: পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে ঘূর্ণাবর্ত সক্রিয় রয়েছে। উত্তর ওড়িশার ঘূর্ণাবর্ত ক্রমশ শক্তি হারাচ্ছে। অন্যদিকে, দেশের মূল ভূখণ্ডে প্রবেশ করার পর ১৫ দিন কার্যত নিষ্ক্রিয় থাকার পর ফের সক্রিয় হতে চলেছে মৌসুমী বায়ু। পূর্ব ভারত ও মধ্য ভারত সংলগ্ন এলাকায় মৌসুমী অক্ষরেখার সক্রিয় হবে ১৪ জুন। ১৬ থেকে ১৯ জুনের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা আসার অনুকূল পরিবেশ তৈরি হতে পারে। বর্ষার কাঙ্খিত বৃষ্টি পেতে ২২ থেকে ২৪ তারিখ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বলে প্রাথমিক ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
দক্ষিণবঙ্গে আজও বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি। শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা। বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টির সঙ্গে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝড়ো বাতাস বইবে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম জেলাতে। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বাকি সব জেলাতেই ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড়ের সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস। বৃষ্টির হাত ধরে শুক্রবার থেকে রবিবারের মধ্যে দুই থেকে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা কমবে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে।
উত্তরবঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং উত্তর দিনাজপুর জেলাতে। বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সঙ্গে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো বাতাস বইবে। শুক্রবার দার্জিলিং থেকে মালদা উত্তরবঙ্গের ৮ জেলাতেই ঝড় বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার থেকে উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। দার্জিলিং এবং জলপাইগুড়িতে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। শনিবার দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এই ৫ জেলাতে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। রবিবার বৃষ্টির পরিমাণ ও ব্যাপকতা আরো বাড়বে। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি জেলার সঙ্গে উত্তর দিনাজপুর জেলাতেও ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা। বৃষ্টিতে তাপমাত্রা কমবে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে। দুই থেকে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমতে পারে রবিবারের মধ্যে।