খুলতে চলেছে রাজ্যের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির অভিন্ন পোর্টাল
দৈনিক স্টেটসম্যান | ১২ জুন ২০২৫
অবশেষে যাবতীয় জট কাটল। খুলতে চলেছে রাজ্যের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির অভিন্ন পোর্টাল। বিকাশ ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৭ জুন থেকে খুলবে ভর্তির অভিন্ন পোর্টাল। ওই দিন বিকেল ৪টের পর থেকে স্নাতক স্তরের প্রথম সেমেস্টারে ভর্তির জন্য আবেদনপত্র জমা দিতে পারবেন পড়ুয়ারা। শীঘ্রই এই সংক্রান্ত বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে উচ্চশিক্ষা দপ্তর। বুধবারই রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছিলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমতি নিয়ে খুব শীঘ্রই পোর্টাল খোলা হবে। চলতি সপ্তাহের মধ্যেই যে পোর্টাল খুলে যাবে, তার ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন। অবশেষে পোর্টাল খোলার সম্ভাব্য তারিখ প্রকাশ্যে এল।
চলতি বছর ৭ মে প্রকাশিত হয়েছিল উচ্চ মাধ্যমিকের ফল। এ ছাড়াও, দ্বাদশ স্তরের অন্য বোর্ডের ফলও প্রকাশ হয়ে গিয়েছে প্রায় এক মাস আগে। ফলে ছাত্র-ছাত্রীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য। শিক্ষা দপ্তরের তরফে দাবি করা হয়েছিল, ওবিসি সংরক্ষণ মামলা বিচারাধীন থাকায় ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করা যাচ্ছে না। গত মঙ্গলবার বিধানসভায় ওবিসি সংরক্ষণ নিয়ে রাজ্য সরকার নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করায় ভর্তি সংক্রান্ত সংরক্ষণের জট কেটেছে। তারপরেই কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির অভিন্ন পোর্টাল খোলার দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
গত বছর ১৯ জুন শুরু হয়েছিল কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া। সেই দিনই খুলেছিল ‘সেন্ট্রালাইজড অ্যাডমিশন পোর্টাল’। গত শিক্ষাবর্ষে নভেম্বর পর্যন্ত কলেজগুলিতে ভর্তি নেওয়া হয়েছিল। এর জেরে পড়ুয়াদের সিলেবাস শেষ করার ক্ষেত্রেও সমস্যা তৈরি হয়েছিল। সেই কারণেই এবার দ্রুত ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করতে চায় শিক্ষা দপ্তর।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ভর্তির জন্য গত বছর থেকে চালু হয়েছে ‘সেন্ট্রালাইজড অ্যাডমিশন পোর্টাল’। ওই পোর্টালের মাধ্যমে ১৬টি বিশ্ববিদ্যালয়, ৪৬১টি সরকারি এবং সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজ এবং উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্নাতক স্তরে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছিল। দেশের যে কোন স্বীকৃত বোর্ড/ কাউন্সিল/ সমতুল্য প্রতিষ্ঠান থেকে দ্বাদশ উত্তীর্ণ পড়ুয়ারা আবেদন করতে পারবেন। তাঁরা মোট ৭ হাজার ২১৭টি কোর্সের মধ্যে থেকে নিজের পছন্দের বিষয় বেছে নিতে পারবেন। অবশ্য প্রেসিডেন্সি, যাদবপুর, বিশ্বভারতীর মতো বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় এবং কয়েকটি সংখ্যালঘু কলেজ আলাদাভাবে পড়ুয়াদের ভর্তি নিচ্ছে। সেই প্রক্রিয়া দ্বাদশ শ্রেণির রেজাল্ট বেরোনোর পরপরই শুরু হয়ে গিয়েছে।