মনোরঞ্জন মিশ্র: মর্মান্তিক! ভয়ংকর! পারিবারিক কলহের 'শিকার' ৩ বছরের ফুটফুটে মেয়ে। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়ার (Purulia Incident) বলরামপুর থানার আমারু গ্রামে । ৩ বছরের শিশুকন্যাকে নিয়ে কুয়োয় ঝাঁপ দেন মা। এই ঘটনায় মৃত্যু হয় মেয়ের। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মা।
পুরুলিয়ায় মেয়েকে নিয়ে কুয়োয় ঝাঁপ মায়ের
জানা গিয়েছে, আমারু গ্রামের বাসিন্দা বিভীষণ মাহাতো, তাঁর স্ত্রী কল্যাণী মাহাতো ও দম্পতির একমাত্র সন্তান ৩ বছরের মেয়ে- এই ছিল সংসার। এখন বিভীষণ মাহাতো ও স্ত্রী কল্যাণী মাহাতোর মধ্যে প্রায়শই পারিবারিক কলহ লেগে থাকত। বুধবার দিনও তাঁদের মধ্যে বাগবিতন্ডা হয়। এরপরই ৩ বছরের শিশুকন্যাকে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান কল্যাণী মাহাতো। তারপরই গোবিন্দপুর এলাকার একটি কুয়োতে মেয়েকে নিয়ে ঝাঁপ দেন তিনি।
স্থানীয়রা এ ঘটনা দেখতে পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে মা ও মেয়েকে উদ্ধার করেন। দুজনকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে পুরুলিয়া গভর্মেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাঁদের। সেখানে চিকিৎসকেরা ৩ বছরের ওই শিশুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অন্যদিকে মা কল্যাণী মাহাতো এখনও পুরুলিয়া গভর্মেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মধ্যমগ্রামে মেয়েকে খুন করে আত্মঘাতী মা
প্রসঙ্গত কয়েক মাস আগে মধ্যমগ্রামেও এরকমই একটি ঘটনা ঘটেছিল। বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল মা-মেয়ের নিথর দেহ। সেই ঘটনায় ৫ বছরের মেয়েকে খুন করে মায়ের আত্মঘাতী হওয়ার অভিযোগ ওঠে। মৃত্যুর আগে স্বামীকে করা শেষ হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে তাঁর মৃত্যুর জন্য কাউকে দায়ি করেননি মধুমিতা রায় নামে ওই তরুণী। প্রাথমিকভাবে পুলিসের অনুমান, মানসিক অবসাদ থেকেই এই ঘটনা ঘটান ওই তরুণী।
মধ্যমগ্রাম দোহারিয়া শৈলেশ নগর দুর্গামণ্ডপ এলাকায় একটি ভাড়াবাড়িতে স্বামী ও ৫ বছরের মেয়েকে নিয়ে থাকতেন মধুমিতা রায়। স্বামী প্রসেনজিৎ রায় একটি পিচবোর্ডের কারখানায় কাজ করেন। বছর সাতেক আগে মধুমিতা ও প্রসেনজিতের বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের ২ বছর পর দম্পতির কন্যাসন্তান হয়। ঘটনার দিনও স্বামী-স্ত্রীর ফোনে কথা হয়েছিল। তারপর আর স্ত্রীকে ফোনে না পাওয়ায়, প্রতিবেশীদের ফোন করেন। প্রতিবেশীরা এসে দরজা ভাঙতেই উদ্ধার হয় মা-মেয়ের নিথর দেহ। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল।