অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: কুকীর্তিতে একেবারে তুলনাহীন! পর্ন শুটিংয়ের নামে যে কতশত মেয়েকে বেআইনি কাজের জালে জড়িয়েছে, তার ঠিক নেই। এসব কাণ্ড দেখে জনতাও তার উপর খেপে লাল। ডোমজুড়ে তরুণীকে আটকে রেখে মারধরের ঘটনায় পুলিশের জালে ‘পর্ন সম্রাজ্ঞী’ শ্বেতা খান ওরফে ফুলটুসি। বৃহস্পতিবার তাকে হাওড়া আদালতে তোলার সময় জনতার রোষ আছড়ে পড়ল। পুলিশি ঘেরাটোপের ফাঁক গলে তার গালে পড়ল চড়! ধেয়ে এল জুতোও। এসবের জেরে তার নিরাপত্তা নিয়েও বড়সড় প্রশ্ন উঠল।
সোদপুরের তরুণীকে ডোমজুড়ে আটকে রেখে দীর্ঘদিন ধরে অত্যাচারের ঘটনা সামনে আসার পর থেকেই শ্বেতা ওরফে ফুলটুসি ওরফে মহসিনার কুকীর্তি ফাঁস হয়েছিল। জানা যায়, শ্বেতা ও তার ছেলে আরিয়ান প্রেমের ফাঁদে জড়িয়ে মেয়েদের দিয়ে পর্নোগ্রাফি শুট করাত। তার কথা অমান্য করলেই জুটত অত্যাচার। আরিয়ানের প্রেমে পড়ে সোদপুরের ওই তরুণী এর শিকার হয়। মা-ছেলের যৌথ কুকীর্তির কথা জানতে পারার পরই ওই তরুণীর উপর অত্যাচার নেমে আসে বলে অভিযোগ। তিনি এনিয়ে প্রতিবাদ করে গোটা বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেন। তারপর থেকে পলাতক ছিল শ্বেতা ও ছেলে আরিয়ান।
অবশেষে মঙ্গলবার আরিয়ানকে গল্ফগ্রিন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মা শ্বেতা ওরফে ফুলটুসিও পুলিশের জালে চলে আসে। বুধবার সন্ধ্যায় আলিপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার শ্বেতাকে হাওড়া আদালতে পেশ করার সময় জনতার রোষের শিকার হতে হল শ্বেতাকে। মহিলা পুলিশরা তাকে ঘিরে আদালতের দিকে নিয়ে যাওয়ার সময়ে এক মহিলা সেই ঘেরাটোপের মধ্যে থেকেই তাকে চড় মারেন, ভিডিওতে তা স্পষ্ট ধরা পড়েছে। শ্বেতাকে লক্ষ্য করে ধেয়ে আসে জুতোও। এসবের পর তার নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়।