বেআইনি ভাবে বালি তুলে তা অন্যত্র পাচার করা হচ্ছে, ফের এই অভিযোগ উঠেছে কুলটিতে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া বার্তার পরেও এই অবৈধ কারবার বন্ধ না হওয়ার পিছনে তৃণমূলের জড়িত থাকার পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের একাংশের মদত রয়েছে, এমনই অভিযোগ বিরোধীদের। যদিও উভয় পক্ষই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, বুধবার সকালে সাঁকতোড়িয়া ফাঁড়ির রক্তা ও ডিসেরগড় ঘাটথেকে অবৈধ ভাবে বালি তুলে তা ট্রাক্টর ও মালবোঝাই গাড়িতে করে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কংগ্রেসের কুলটি ব্লকের সভাপতি সুকান্তদাসের দাবি, “বর্তমানে কুলটিতে অবৈধ বালির কারবার চলছে। যার মধ্যে ডিসেরগড় ঘাট, রক্তা ঘাট রয়েছে। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে চলছে এই কারবার। ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপিও দিয়েছি। ব্লক ভূমি ও সংস্কার দফতরেও জানিয়েছি। কিন্তু লাভ পাইনি।”তিনি বলেন, “প্রশাসনের একাংশের মদত না থাকলে, এ কাজ চলতে পারে না বলে আমার মনে হয়।”তাঁর আশঙ্কা, “নবান্নে চিঠি দিয়ে আগামী দিনে বড় আন্দোলনে নামব। কারণ, এ ভাবে চলতে থাকলে নদ-নদীর গতিপথ পাল্টে যাবে।” কুলটির বিজেপি বিধায়ক অজয় পোদ্দারের মন্তব্য, “বালি, কয়লা, পাথরের অবৈধ কারবারের পিছনে রাজ্য সরকারের লোক জড়িত। সেখান থেকে কাটমানি নিচ্ছে সরকার। তাই পুলিশ কী করবে!” যদিও তৃণমূলের কুলটি ব্লকের সভাপতি বিমান দত্ত বলেন, “পুলিশ ও ভূমি সংস্কার দফতর অভিযান চালায়। তার পরেও যদি কেউ এই অবৈধ কাজে জড়িত থাকেন, তা হলে পুলিশ-প্রশাসনের কাছে আবেদন, যৌথ ভাবে অভিযান চালিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনিব্যবস্থা নেওয়ার।”
ভূমি সংস্কার দফতর ও পুলিশের দাবি, এই অবৈধ কারবার বন্ধে নিয়মিত অভিযান চালানো হয়। ডিসিপি (ওয়েস্ট) সন্দীপ কাররা বলেন, “নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে। আগামী দিনে আরও কড়া ভাবে অভিযান চালানো হবে।”