• জমি বিবাদে বোমাবাজি, বৈষ্ণবনগরে জখম একাধিক, ধৃত দুই
    বর্তমান | ১৩ জুন ২০২৫
  • সংবাদদাতা, কালিয়াচক: জমির আল দেওয়া নিয়ে গণ্ডগোল। সেই ঝামেলা থেকে ব্যাপক সংঘর্ষ দুই পরিবারের। তার জেরে বুধবার গভীর রাতে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বাখরাবাদের দেওনাপুর এলাকা। পরবর্তীতে দুই পরিবারের মধ্যে ব্যাপক বোমাবাজি শুরু হয়। ইতিমধ্যে পুলিস দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন দুই পরিবারের কয়েকজন।

    স্থানীয় সূত্রে খবর, কয়েকবছর ধরেই খেত নিয়ে মনিরুল শেখদের সঙ্গে জিল্লুর রহমানদের গণ্ডগোল চলছিল। কিন্তু স্থানীয়দের তৎপরতায় ঝামেলা বড় আকার নেয়নি। ঈদের পরের দিন থেকে ফের দু’পক্ষের মধ্যে জমির আল বাঁধা নিয়ে ঝামেলার সূত্রপাত। বুধবার বিকেলে মনিরুলদের সঙ্গে এনিয়ে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন জুল্লুররা। অভিযোগ, সন্ধ্যায় মনিরুলের ভাইকে মারধর করেন জুল্লুরের এক ভাইপো। তারপরেই দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়। রাত গড়াতে দু’পক্ষই একে অপরকে লক্ষ্য করে বোমাবাজি শুরু করে। খবর পাওয়া মাত্র এলাকায় পৌঁছয় বৈষ্ণবনগর থানার বিশাল পুলিস বাহিনী। পুলিসের তৎপরতায় বোমাবাজি বন্ধ হয়। পালিয়ে যান অভিযুক্তরা। সকালে পারলালপুর ঘাট সংলগ্ন এলাকা থেকে পুলিস রুবেল ও করিম শেখকে আটক করে। পরে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

    গ্রামের বাসিন্দা উমর শেখের কথায়, রাত আনুমানিক দুটো থেকে আচমকা বোমা পড়তে থাকে এলাকায়। বাইরে বেরিয়ে দেখি মনিরুল ও জামাল সর্দারদের সঙ্গে প্রতিবেশী কাকার ছেলেদের সঙ্গে ঝামেলা শুরু হয়েছে। তারাই বোমা ছোড়াছুড়ি করছিল। স্থানীয়রা বৈষ্ণবনগর থানায় খবর দিলে পুলিস দ্রুত এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

    মনিরুলের স্ত্রী রুনা বিবি বলেছেন, আমাদের জমির আল দিচ্ছিলাম। সেই সময় জুল্লুররা বাধা দেয়। আমরা ঝামেলা করতে চাইনি। জুল্লুর এবং তার কয়েকজন আত্মীয় মিলে আমার স্বামীকে মাঠেই  মারধর করে। সন্ধ্যা নাগাদ আবার ভাইপোকে গালিগালাজ করে জুল্লুররা। প্রতিবাদ করতেই আমাদের ওপরে চড়াও হয়। এরপর তারা আমাদের বাড়ির সামনে বোমাবাজি শুরু করে।

    যদিও তাঁর অভিযোগ মানতে নারাজ জুল্লুর। তিনি বলেন, আমাদের সঙ্গে ওদের কোন‌ও সম্পর্ক নেই। গায়ের জোর দেখিয়ে আমাদের জমির উপরেই আল দিচ্ছিল। বাধা দিলে আমাকে ও ভাইদের মারধর শুরু করে মনিরুলের দলবল। তারাই রাতে আমাদের বাড়ির সামনে ব্যাপক বোমাবাজি করে এবং লুটপাট চালায়।

    পুলিস জানিয়েছে, ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে। রুবেল ও করিমকে গ্রেপ্তার করে মালদহ জেলা আদালতে পেশ করা হলে বিচারক ৭ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।  ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা। - নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)