সংবাদদাতা, শীতলকুচি: ফের শীতলকুচির ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশ রুখল বিএসএফ। বৃহস্পতিবার শীতলকুচির গাদোপোঁতা সীমান্তে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দিনভর চাপা উত্তেজনা ছিল।
এদিন বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিল ৫ জন বাংলাদেশি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অমৃত বর্ডার আউট পোস্টের ২১ নম্বর গেটের দিক দিয়ে বাংলাদেশিরা ভারতের দিকে আসছিলেন। তাঁদের মধ্যে দু’জন পুরুষ,একজন মহিলা এবং দু’জন কিশোরী ছিল। জিরো পয়েন্ট টপকে আসতেই তাঁদের বাধা দেন ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর ১৫৭ নম্বর ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা। ওই ৫ জন বাংলাদেশের দিকে ফিরতে গেলে তাঁদের আটকে দেয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ। ফলে জিরো পয়েন্টেই আটকে থাকেন ওই বাংলাদেশিরা। পরে বিএসএফ আধিকারিকরা বিজিবি’র সঙ্গে ফ্ল্যাগ মিটিং করেন। কিন্তু তাতে কোনও সমাধান হয়নি। ওই ব্যক্তিরা কোন দেশের বাসিন্দা, তা বিএসএফ-বিজিবি দু’পক্ষই খতিয়ে দেখছে। ফলে জিরো পয়েন্টেই থাকেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, গত মাসে শীতলকুচির সাঙারবাড়ি ও মহিষমুড়ি সীমান্ত দিয়ে বেশকিছু বাংলাদেশি ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিল। সেই চেষ্টাও রুখে দিয়েছিলেন বিএসএফ জওয়ানরা। ফের সীমান্তে একই ঘটনায় এদিন নতুন করে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। অভিযোগ, বিজিবি কয়েকজন বাংলাদেশিকে ভারতের দিকে পাঠিয়ে দেয়।
এই ঘটনার জেরে সীমান্তে উত্তেজনার কারণে এদিন কাঁটাতার পেরিয়ে জমিতে কাজে যাননি গাদোপোঁতা সীমান্তের চাষিরা। কাঁটাতারের ওপারে বোরো খেত নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তাঁরা। দিনভর সীমান্তের কাছে পুরো বিষয়টির উপর নজর রেখেছেন এলাকাবাসী। স্থানীয় কৃষক রাহুল রায়, মিনতি বর্মন প্রমুখ বলেন, কাঁটাতারের ওপারে আমাদের বোরো ধানের খেত রয়েছে। ধান পেকে গিয়েছে। সেগুলি কেটে আনতে হবে। আবহাওয়া দপ্তর বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। বৃষ্টি এলে ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কী করব বুঝে উঠতে পারছি না। তাছাড়া যেকোনও সময় উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। এ কারণে আমরা এদিন জমিতে যাইনি। আমরা চাই, বাংলাদেশিরা তাঁদের দেশে ফিরে যাক।
যদিও বিকেল গড়ালেও বাংলাদেশিরা জিরো পয়েন্টেই বসে থাকেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিএসএফ আধিকারিক বলেন, ফ্ল্যাগ মিটিংয়ে ভারতীয়নথিপত্র দেখাতে পারেননি সীমান্তের জিরো পয়েন্টে চলে আসা ওই বাসিন্দারা। আমরা ওঁদের দেশে ঢুকতে দেব না। সীমান্তে কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে।