• শিলিগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গে ভ্যাপসা গরম, দিনহাটায় অসুস্থ আরও ছয় পড়ুয়া
    বর্তমান | ১৩ জুন ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি ও সংবাদদাতা, দেওয়ানহাট: গরমের দাপট অব্যাহত। বিক্ষিপ্তভাবে ঝড় ও বৃষ্টি হলেও উত্তরবঙ্গে গরমের তীব্রতা কমেনি। বৃহস্পতিবার অধিকাংশ এলাকার তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে ছিল। যার জেরে ফের গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েছে ছয় স্কুল পড়ুয়া। এনিয়ে তিন দিনে অসুস্থ হয়েছে ১০ জন। এদিকে, স্কুলে খুদেদের মধ্যে আইসক্রিমও বিলি করা হয়। এই অবস্থায় আজ, শুক্রবার থেকে দু’দিনের জন্য স্কুলের পঠনপাঠন বন্ধ থাকবে। রাজ্য সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন অভিভাবকরা।

    বুধবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত দফায় দফায় শিলিগুড়িতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে। রাতে বিক্ষিপ্তভাবে শহর ও গ্রামীণ এলাকায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি ও ঝড় হয়। তা সত্ত্বেও এখানকার তাপমাত্রা উল্লেখযোগ্য পতন হয়নি। এদিন এখানকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আকাশে হালকা মেঘ থাকলেও বৃষ্টি হয়নি। ভ্যাপসা গরমে জেরবার হয়েছেন বাসিন্দারা। বিশেষ করে টোটো, অটো, বাস ও ট্রেনে গাদাগাদি করে যাতায়াত করার সময় অনেকে অস্বস্তি বোধ করেন। জলপাইগুড়ি জেলার পরিস্থিতিও একই রকম ছিল।

    সংশ্লিষ্ট দু’টি এলাকার থেকেও গরমের দাপট বেশি ছিল কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলায়। এদিন গরমের জেরে ফ্যান ও এসি ছাড়া ঘরে টেকা যাচ্ছিল না। এই অবস্থায় দিনহাটা মহকুমার বামনহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে ছয় ছাত্রী। তাদের ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এদের মধ্যে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর অবস্থা ছিল গুরুতর। তাকে মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অশোককুমার রায় বলেন, গরমের তীব্রতার জেরেই ওই ছাত্রীরা অসুস্থ  হয়ে পড়ে। এনিয়ে কোচবিহার, মাথাভাঙা ও আলিপুরদুয়ারে তিন দিনে স্কুলে অসুস্থ হয়ে পড়েছে ১০ জন ছাত্রছাত্রী। শিলিগুড়িতে অসুস্থ হওয়ার খবর না মিললেও স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতির হার কমেছে। শিলিগুড়ির প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যন দিলীপ রায় অবশ্য বলেন, বৃষ্টি হওয়ার পর গত কয়েক দিনের তুলনায় এদিন প্রাথমিক স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতি সামান্য বেড়েছে। যা ৫৫ থেকে ৬০ শতাংশের আশপাশে। 

    এদিকে, কোচবিহার শহরের সারদামণি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের আইসক্রিম খাওয়ানো হয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মঈন চিশতি বলেন, অসহনীয় গরমে পড়াশুনার পাশাপাশি শিশুদের কিছুটা স্বস্তি দিতেই এই ছোট্ট প্রচেষ্টা।
  • Link to this news (বর্তমান)