• বর্ষার মরশুমে জেলার কোনও নদী থেকে তোলা যাবে না বালি
    বর্তমান | ১৩ জুন ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, সিউড়ি: বর্ষা আসন্ন। এই পরিস্থিতিতে জেলার নদীগুলি থেকে বালি তোলার ক্ষেত্রে বীরভূম জেলা প্রশাসন রাশ টানতে তৎপর হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, বর্ষা শুরুর আগেই প্রশাসনিকভাবে নদীগর্ভ থেকে বালি তোলায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে। বর্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। ফলত আনুমানিক তিন মাস কোনও নদী থেকে বালি তোলা যাবে না। তবে, প্রশাসনিক নিয়ম ভেঙে বর্ষায় নদী থেকে বালি তোলার অভিযোগ প্রকাশ্যে এলে প্রশাসন কড়া পদক্ষেপ করবে। এই সময়কালে শুধুমাত্র মজুত করা বালি পরিবহণের অনুমতি মিলবে। সেক্ষেত্রে জেলার লিজ হোল্ডাররা ইতিমধ্যে বালি মজুতের কাজে মন দিতে শুরু করেছেন। জেলাশাসক বিধান রায় বলেন, বর্ষার মরশুমে নদী থেকে বালি তোলা যায় না। এনিয়ে প্রতি বছরই নির্দেশিকা জারি হয়। এবছরও নির্দিষ্ট সময়ে নির্দেশিকা জারি করা হবে। তবে, এই সময়কালে নিয়ম ভেঙে নদী থেকে বালি তোলার কাজ চললে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে বালি উত্তোলনের কাজে জড়িতদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হবে। এছাড়াও বালি তোলার কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জামও বাজেয়াপ্ত করা হবে। সরকারি নিয়ম মেনে জেলায় উপর দিয়ে বয়ে চলা একাধিক নদনদী থেকে বালি তোলার কাজ চলে। তবে, সরকারি নিয়ম উপেক্ষা করে অবৈধ বালির কারবার এই জেলায় নতুন কিছু নয়। প্রায়শই জেলার নানা প্রান্তে নদী থেকে অবৈধভাবে বালি তোলার অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। এক সময় এনিয়ে খোদ রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন। এরপর অবশ্য জেলা প্রশাসন শক্ত হাতে অবৈধ বালি কারবারের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। রাতের অন্ধকারে সারপ্রাইজ ভিজিটের পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের তরফে কড়া নজরদারি শুরু হয়। জেলাশাসক নিজেও একাধিক সময় বালির অবৈধ কারবার রুখতে অভিযানে শামিল হয়েছিলেন। তাতে কিছুটা রাশ টানা গেলেও অবৈধভাবে নদী থেকে বালি তুলে পাচারের কাজে পুরোপুরি রাশ এখনও টানা সম্ভব হয়নি। এই আবহেই এবার বর্ষার মরশুমে নদী থেকে পুরোপুরিভাবে বালি তোলায় নির্দেশিকা জারি হতে চলেছে।
  • Link to this news (বর্তমান)