নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: রবীন্দ্র সরোবরের ভিতরে আছে একটি দ্বীপ এবং সেখানে রয়েছে একটি মসজিদ। একটি ঝুলন্ত সেতুর মাধ্যমে রবীন্দ্র সরোবরের মূল ভূ-খণ্ডের সঙ্গে দ্বীপটি যুক্ত। কিন্তু, সেই ঝুলন্ত সেতু সহ
গোটা দ্বীপের হাল খারাপ। তাই এবার, সেতুটির সংস্কার ও দ্বীপের
ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিতে চলেছে কেএমডিএ (কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি)। তার টেন্ডার ডাকা হয়েছে।
রবীন্দ্র সরোবরের জলাশয়ের মধ্যে ছোটবড় মোট চারটি স্থলভূমি রয়েছে। তার মধ্যে ঢাকুরিয়ার দিকে থাকা একটি দ্বীপে সাধারণত মানুষ যায় না। সারা বছর প্রচুর পাখির দেখা মেলে সেখানে। শীতে বহু পরিযায়ী পাখির আস্তানা হয়ে ওঠে জায়গাটি। এছাড়াও রয়েছে মসজিদ থাকা একটি দ্বীপ। সেখানে থাকা এই ঝুলন্ত সেতুর সংস্কার বহুকাল হয়নি। তাই সেই ঝুলন্ত সেতুর প্রয়োজনীয় মেরামতি করা হবে। রং করা হবে। পাশাপাশি, এই দ্বীপেও পাড় বাঁধাইয়ের কাজ করা হবে। এর জন্য ১৪ লক্ষের কিছু বেশি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। গত কয়েক বছর ধরেই দেখা যাচ্ছে, দ্বীপের গাছগুলি একে একে মরে যাচ্ছে। শুকিয়ে যাচ্ছে ডালপালা। তৈরি হয়েছে আগাছার জঙ্গল, ঝোপঝাড়। সেই সঙ্গে বিষাক্ত সাপের আনাগোনা। জলের ধাক্কায় দ্বীপের ধারে ধারে কিছু অংশ ভেঙেও গিয়েছে। তাই ঠিক হয়েছে, এর যাবতীয় সংস্কারের কাজ করা হবে। এর বাইরেও রবীন্দ্র সরোবরে আরও একটি দ্বীপ রয়েছে। সেই স্থলভূমিতেও পরিচর্যার অভাবে গাছপালা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় পাড় ভাঙছে। এই দ্বীপে সবুজ ফেরানোর জন্যও বিশেষ পরিকল্পনা রয়েছে কেএমডিএর। সেখানে ‘সিড বল’ ছড়িয়ে নতুন গাছপালা সৃষ্টি করা হবে। যাতে ওই দ্বীপভূমি আগের মতো সজীব-সতেজ হয়ে ওঠে। -নিজস্ব চিত্র