গলায় গামছা জড়ানো অবস্থায় মেলে নমিতাদেবীর দেহ, খুনি পরিচিত কেউ!
বর্তমান | ১৩ জুন ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: মুচিপাড়া থানার সার্পেন্টাইন লেনে একাকী নমিতাদেবীকে শ্বাসরোধ করে খুন ও লুটপাটের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর মোড়! বাড়ির মূল দরজার ছিটকিনি অক্ষত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। দরজা ভাঙা হয়নি। অর্থাৎ চেনা লোক দেখেই সম্ভবত দরজা খুলে দিয়েছিলেন নমিতাদেবী। ফলে তাঁকে খুনের পিছনে ওই পরিচিত ব্যক্তির জড়িত থাকার সম্ভাবনাই বেশি বলে ধারণা লালবাজারের গোয়েন্দাদের।
নিথর নমিতাদেবীর গলায় গামছা পেঁচানো ছিল। যা দেখে প্রথম থেকেই গোয়েন্দাদের অনুমান, ওই গামছার ফাঁস দিয়েই শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে বছর ছিয়াত্তরের ওই বৃদ্ধাকে। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে গোয়েন্দাদের এই অনুমানকে সত্যি বলেই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, বুধবার ভোরের দিকেই খুন করা হয়েছে বৃদ্ধাকে।
কলকাতা পুলিসের এক সূত্র জানাচ্ছে, নমিতাদেবীর হাতে দু’টি সোনার চুড়ি ছিল। যার খোঁজ মেলেনি। তবে তাঁর মোবাইল ফোন (কিপ্যাড মোবাইল) ঘরেই পাওয়া গিয়েছে। আলমারি খোলা অবস্থায় ছিল। তাতে গয়নার একাধিক খালি পাউচ মিলেছে। নগদ টাকা ও গয়না মিলিয়ে ঠিক কী কী জিনিস খোয়া গিয়েছে, সেই তথ্য এখনও স্পষ্ট নয়। কারণ, নমিতাদেবীর স্বামী ও দুই ছেলে অনেক আগেই প্রয়াত হয়েছেন। ফলে তাঁর ঘরে কত গয়না ও নগদ টাকা ছিল, সেই তথ্য তাঁর কোনও আত্মীয় দিতে পারেননি।
এদিকে, নমিতাদেবীর দেহে আঘাতের ধরন দেখে প্রাথমিকভাবে গোয়েন্দাদের অনুমান, খুনি সম্ভবত একজনই। কিছুদিন ধরেই নমিতাদেবী বাড়ির পুরনো আসবাব বিক্রির চেষ্টা করছিলেন। ক্রেতা হিসেবে কয়েকজনের আনাগোনা ছিল বাড়িতে। এই রহস্যজনক খুন ও লুটপাটের তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা জানার চেষ্টা করছেন, কারা কারা আসতেন তাঁর বাড়িতে। পরিচারিকা থেকে শুরু করে ওই বাড়িতে যাতায়াত ছিল, এমন ব্যক্তিদের নামের তালিকা তৈরি করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে লালবাজার। এখনও এই রহস্যজনক খুন ও লুটের ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিস।
পাশাপাশি, সুরু সার্পেন্টাইন লেনের কয়েকটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ হাতে পেয়েছে লালবাজার। কিন্তু তাতে কোনও উল্লেখযোগ্য সূত্র মেলেনি বলে দাবি করছেন গোয়েন্দারা।