• রেশনে বিলি হবে দিঘা জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ
    এই সময় | ১৩ জুন ২০২৫
  • এই সময়, চুঁচুড়া: দিঘা জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ বিলি হবে রেশন দোকানের মাধ্যমে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহ্বানে সাড়া দিয়ে বিনা পারিশ্রমিকে বাড়ি বাড়ি প্রসাদের প্যাকেট পৌঁছে দেবেন রেশন ডিলাররা।

    নবান্ন সূত্রের খবর, আগামী ১৭-২৭ জুনের মধ্যে রাজ্যের প্রতিটি রেশন দোকানে জগন্নাথের প্রসাদ বিলি করা হবে। তার গুণগত মান বজায় রাখতে প্রসাদের প্যাকেটে ম্যানুফ্যাকচারিং ডেট এবং এক্সপায়ারি ডেট লেখা থাকবে। সেই মতো জেলায় জেলায় প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে।

    অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশনের সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু বলেন, ‘বাড়ি বাড়ি জগন্নাথের প্রসাদ পৌঁছে দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী যে উদ্যোগ নিয়েছেন, রাজ্যের রেশন ডিলাররা তাতে সব ধরনের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন। প্রসাদ পৌঁছানোর জন্য সরকার আমাদেরকে প্যাকেট পিছু ১ টাকা করে কমিশন দিতে চেয়েছিল।

    আমরা বলেছি, কোনও কমিশন লাগবে না। এই কাজটা আমরা বিনা পয়সাতেই করব। শুধু আমরা বলেছি, প্যাকেটের উপরে যেন ম্যানুফ্যাকচারিং ডেট এবং এক্সপায়ারি ডেটটা লেখা থাকে।’

    দিঘায় জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের দিনই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, প্রতিটি বাড়িতে জগন্নাথের প্রসাদ পৌঁছে দেওয়া হবে। যাঁরা রাজ্যের বাইরে রয়েছেন, চাইলে তাঁরাও জগন্নাথের প্রসাদ সংগ্রহ করতে পারবেন।

    সরকার নিজের উদ্যোগে তাঁদের কাছে জগন্নাথের প্রসাদ পৌঁছে দেবে। কিন্তু রাজ্যের কয়েক কোটি মানুষের কাছে প্রসাদ কী ভাবে পাঠানো হবে, তা নিয়ে বেশ বিড়ম্বনায় পড়েছিলেন নবান্নের কর্তারা। শেষমেষ সিদ্ধান্ত হয়, রেশন দোকানের মাধ্যমেই প্রসাদ বিলি করা হবে।

    নবান্নের এক শীর্ষ কর্তার ব্যাখ্যা, ‘রাজ্যের এমন কোনও এলাকা নেই, যেখানে রেশন দোকান নেই। গোটা রাজ্যে সবমি‍লিয়ে প্রায় ২২ হাজার রেশন দোকান রয়েছে। রেশন গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় ৮ কোটি ৮০ লক্ষ।

    দুয়ারে রেশন প্রকল্পের সুবাদে এখন বাড়ি বাড়ি রেশন পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। সেই পরিকাঠামোকে কাজে লাগিয়ে বাড়ি বাড়ি জগন্নাথের প্রসাদ পৌঁছে দেওয়া হবে।’

    মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মতো দিঘার মন্দির থেকে ইতিমধ্যেই জগন্নাথের মহাপ্রসাদ পৌঁছে গিয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়। সেটাকে মিশিয়েই তৈরি হবে গজা ও প্যাড়া। তাকে প্যাকেটে ভরে পাঠিয়ে দেওয়া হবে রেশন ডিলারদের কাছে।

    রেশন ডিলাররা সেটাকে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেবেন। পুরো বিষয়টি তদারকি করছেন প্রশাসনের কর্তারা। তারই প্রস্তুতি হিসেবে বৃহস্পতিবার হুগলির চুঁচুড়া পুরসভা এলাকার রেশন ডিলারদের সঙ্গে বৈঠক করলেন মহকুমা শাসক স্মিতা সান্যাল শুক্লা।

    তিনি বলেন, ‘জগন্নাথের প্রসাদ কী ভাবে বিলি হবে, সেটা নিয়ে রেশন ডিলারদের সঙ্গে একটা মিটিং হয়েছে। প্রথম ধাপে হুগলি চুঁচুড়া পুরসভা এলাকায় ২৫–২৬ হাজার বাড়িতে প্রসাদ পৌঁছে দেওয়া হবে। রেশন কার্ড না থাকলেও এই প্রসাদ পাওয়া যাবে। রেশন দোকানটা স্রেফ একটা মাধ্যম মাত্র।’

    জগন্নাথের মহাপ্রসাদ ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে। সেই মহাপ্রসাদ মিশিয়ে বৃহস্পতিবার থেকে প্যাড়া ও গজা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। কাঁথি মহকুমা শাসকের দপ্তরে বিশেষ পুজোপাঠের মধ্যে দিয়ে প্যাড়া ও গজা তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। পুজোয় অংশ নেন কাঁথির এসডিও প্রতীক অশোক ধুমাল ও কাঁথি মিউনিসিপ্যালিটির চেয়ারম্যান সুপ্রকাশ গিরি।

  • Link to this news (এই সময়)