• পুরুলিয়া-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসে সাপ! আধ ঘণ্টা খুঁজেও মিলল না হদিশ, আতঙ্কে যাত্রীরা
    এই সময় | ১৩ জুন ২০২৫
  • চলন্ত ট্রেনে সাপ! বাথরুম সাফ করতে গিয়েছিলেন রেলের এক ঠিকা কর্মী। তখনই তাঁর নজরে আসে, কমোডের সিট কভারে জড়িয়ে রয়েছে একটি সাপ। তবে অনেক চেষ্টা করেও তাকে ধরা যায়নি। শুক্রবার পুরুলিয়া-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের ওই ঘটনায় আতঙ্ক ছাড়ায় যাত্রীদের মধ্যে।

    সূত্রের খবর, ট্রেন চন্দ্রকোনা স্টেশন রোড ছাড়ার পর বাথরুম পরিষ্কার করতে যান এক সাফাইকর্মী। কিন্তু বাথরুমে ঢুকেই আঁতকে ওঠেন তিনি। দেখেন, কমোডের সিট কভারে জড়িয়ে রয়েছে একটা সাপ। শুধু তার লেজ দেখা যাচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি সাপের ভিডিয়ো তুলে পাঠিয়ে দেন সুপারভাইজারের কাছে।

    ভিডিয়ো দেখে ঘাবড়ে যান সুপারভাইজারও। তিনি সেই ভিডিয়ো পাঠিয়ে দেন মেদিনীপুরের কন্ট্রোল রুমে। এখন কী করণীয়? নির্দেশ আসে, আগে বাথরুমের দরজা বন্ধ করতে হবে। একই সঙ্গে জানানো হয়, সর্পবন্ধু পাঠানো হচ্ছ, চিন্তার কিছু নেই। ওই সাফাই কর্মী তাই করেন। দরজা বন্ধ করে দেন। দুরুদুরু বুকে সর্পবন্ধুর অপেক্ষা করতে থাকেন যাত্রীরা। ঠিক সেই সময়েই ট্রেন ঢোকে মেদিনীপুর স্টেশনে।

    কন্ট্রোল রুম থেকে খবর দিয়ে সর্পবন্ধু সুরজিৎ মাইতিকে ওই ট্রেনে পাঠানো হয়েছিল। মেদিনীপুর স্টেশন থেকে তিনি ট্রেনে ওঠেন। শুরু হয় তল্লাশি। কিন্তু ৩৫ মিনিট খোঁজাখুঁজির পরেও সাপের খোঁজ মেলে না। অনুমান করা হচ্ছে, যে ফাঁক দিয়ে সাপ ঢুকেছিল, সেই পথ দিয়েই হয়তো বেরিয়ে গিয়েছে।

    সর্পবন্ধু সুরজিৎ জানিয়েছেন, ভয়ের কিছু নেই। ভিডিয়োতে যে সাপ তিনি দেখেছেন, সেটা বিষাক্ত নয়, নির্বিষ। খড়্গপুর ডিভিশনের সিনিয়র ডিসিএম নিশান্ত কুমার বলেন, ‘বাথরুমে সাপ ঢুকে পড়েছিল। সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ করা হয়। তবে মেদিনীপুর স্টেশনে আধঘণ্টা খোঁজাখুঁজির পরেও সাপের হদিশ মেলেনি।’ ট্রেন যথাসময়েই হাওড়া স্টেশনে পৌঁছয় বলেও জানিয়েছেন তিনি। রেলকর্মীদের অনুমান, সাপ সম্ভবত টয়লেটের গর্ত দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছে।

  • Link to this news (এই সময়)