• পেতেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, এমন ৬ লাখের বেশি মহিলা পান বার্ধক্যভাতা, বিধানসভায় জানালেন মন্ত্রী
    প্রতিদিন | ১৩ জুন ২০২৫
  • রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: রাজ্যে ৬ লাখের বেশি মহিলা বার্ধক্য ভাতা পাচ্ছেন। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পেতেন কিন্তু যাঁদের বয়স ৬০ বছর পেরেয়ি গিয়েছে তাঁরা ‘অটোমেটিক’ ভাবেই বার্ধক্য ভাতা পাচ্ছেন। বিধানসভার বাদল অধিবেশনের প্রশ্ন-উত্তর পর্বে একথা জানালেন নারী ও শিশুকল্যান দপ্তরের মন্ত্রী শশী পাঁজা। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ২ কোটি ১৫ লক্ষ ৮৮ হাজার ৭৭৫ জন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পেয়েছেন।

    আজ, শুক্রবার বিধানসভায় প্রশ্ন-উত্তর পর্বে অংশ নেন শাসক ও বিরোধীদলের বিধায়করা। সেখানে শাসকদলেরই পাথরপ্রতিমা বিধায়ক সমীরকুমার জানা জানতে চান রাজ্যে কতজন বৃদ্ধা বার্ধক্য ভাতা পাচ্ছেন? সেই প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী শশী পাঁজা জানান, ৬ লাখ ৮২ হাজার ৮৯৫ জন এখন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকাই বার্ধক্য ভাতা হিসেবে পাচ্ছেন।

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প শুরু সময়ই জানিয়েছিলেন, এই প্রকল্পে রাজ্যের যুবতীরা মাসিক ভাতা পাবেন। বয়স ৬০ বছর হয়ে গেলেই তাঁরাই বার্ধক্য ভাতা হিসাবে ভাতা পেতে শুরু করবেন। তার জন্য আলাদা করে আবেদন করতে হবে না। সেই মতোই যাঁদেরই বয়স ৬০-এর গণ্ডি ছুঁয়েছে তাঁরাই বার্ধক্য ভাতা পাচ্ছেন। পাশাপাশি মন্ত্রী শশী পাঁজা জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ২ কোটি ১৫ লক্ষ ৮৮ হাজার ৭৭৫ জন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পেয়েছেন।

    লক্ষ্মীর ভাণ্ডার রাজ্যের সামাজিক জনকল্যাণমূলক প্রকল্পে মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয়। মমতা মডেল অনুসরণ করে অন্যান্য এমনকী বিজেপি শাসিত রাজ্যে মহিলাদের হাতে নগদ অর্থ তুলে দেওয়ার প্রকল্প চালু করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই তা অন্য নামে। কিন্তু এই রাজ্যের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে কুৎসার শেষ নেই বিরোধীদের। সেই কুৎসার জবাব দিয়ে মন্ত্রী শশী পাঁজা জানান, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে সামনে রেখে অন্যান্য বিভিন্ন রাজ্য এই ধরনের প্রকল্প করেছে। কোনও কোনও রাজ্যে আবার প্রচুর শর্ত আরোপ করা হয়েছে। তবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই প্রকল্পের জন্য কোনও শর্ত নেই। প্রয়োজন হলে রাজ্য সরকার থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পেতে পারবেন যে কোনও মহিলা। এবং ৬০ বছর পর এই টাকাটাই বার্ধক্য ভাতা হিসাবে হিসাবে পাবেন সেই মহিলা।
  • Link to this news (প্রতিদিন)